সংবাদদাতা, খড়্গপুর: করোনা আতঙ্কে এবার ভিনরাজ্য থেকে নিয়ে আসা মৃতদেহ দাহ করা নিয়ে দেখা দিল জটিলতা। মৃতার নাম মীরা মাহাত(৪৫)। বাড়ি খড়্গপুর গ্রামীণ এলাকার হরিয়াতাড়ায়। গত ২৮ মার্চ বেঙ্গালুরুর একটি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। সোমবার ওই বাসিন্দার মৃতদেহ গ্রামে দাহ করতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরে মেদিনীপুর শহরের শ্মশানে নিয়ে এলে সেখানেও দাহ করতে বাধা দেওয়া হয়। এরপর পুলিস মৃতদেহ উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে দেখা যায়, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে। খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিস সুপার কাজি সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, গ্রামের কাছে একটি জঙ্গলে তাঁকে দাহ করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, মীরা মাহাত হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। কিছুদিন চিকিৎসা হওয়ার পর বাড়ির লোকজন গত ১৯ মার্চ তাঁকে বেঙ্গালুরু নিয়ে যান। সেখানেই গত ২৮ মার্চ তিনি মারা যান। ডেথ সার্টিফিকেটে বলা হয়েছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। এদিন সকালে বাড়ির লোক ওই রাজ্যের আ্যম্বুলেন্সে করে মৃতদেহ দাহ করার জন্য গ্রামে নিয়ে আসেন। অভিযোগ, গ্রামবাসীরা আগে থেকে জানতে পেরে গ্রামে ঢোকার রাস্তা বন্ধ করে দেন। তাঁরা জানিয়ে দেন, গ্রামে মৃতদেহ দাহ করতে দেওয়া হবে না।
মৃতার ছেলে রাজু মাহাত বলেন, আমার মা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। কিন্তু করোনা আতঙ্কে বাইরে থেকে নিয়ে আসা মৃতদেহ গ্রামে দাহ করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। গ্রামে ঢোকার রাস্তাও বন্ধ করে দেওয়া হয়। মেদিনীপুরে নিয়ে এলে সেখানেও দাহ করতে বাধা দেওয়া হয়।
গ্রামের বাসিন্দা প্রদীপ মাহাত বলেন, ডেথ সার্টিফিকেটে লেখা আছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। যেহেতু এখন করোনা নিয়ে আতঙ্ক চলছে, তাই তাঁদের ওখানেই দাহ করে আসতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা দেহ নিয়ে চলে আসেন। তাই গ্রামের লোক আপত্তি করেছেন।