পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
চরহালালপুর গ্রামের বাসিন্দা মটর ঘোষ বলেন, গ্রাম থেকে দুধ কিনে ১২০টি বাড়িতে বিক্রি করতাম। বহরমপুর শহরেও দুধ বিক্রি হতো। কিন্তু এখন অনেকেই আতঙ্কে দুধ কিনতে চাইছেন না। মিষ্টির দোকানগুলিও বন্ধ। সেখানেও দুধ বিক্রি হচ্ছে না। তাই বাড়ি বাড়ি দুধ কেনা প্রায় বন্ধ করে দিয়েছি। খুব খারাপ অবস্থার মধ্যে দিন কাটছে। করোনার ভয়ে বাজারে যাওয়া যাচ্ছে না। অনেকে শাকসব্জি না পেয়ে দুধ-ভাত খেয়েও দিন কাটাচ্ছে। গ্রামের বাসিন্দা বিদ্যুৎ ঘোষ বলেন, গ্রামের অনেকেরই দুধ বিক্রির টাকায় সংসার চলত। কিন্তু এখন তারা দুধ বিক্রি করতে না পারায় সমস্যায় পড়ে গিয়েছে। কারও কারও বাড়িতে ৮-১০ কেজি দুধ উৎপাদন হয়। তাঁরা এতটা পরিমাণ দুধ না খেতে পেরে অন্যদের দিয়েও দিচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদের কান্দি, বেলডাঙা, লালগোলা, শক্তিপুর এলাকা থেকে ছানা কলকাতাতেও যায়। পাশের বীরভূম জেলার মিষ্টির দোকানগুলিতেও ছানা যায়। ব্যবসায়ীরা বাড়ি বাড়ি দুধ সংগ্রহ করার পর ছানা তৈরি করে বিভিন্ন জেলায় পাঠান। ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেই ব্যবসা শিকেয় উঠেছে। তাই গোপালকদের নিজেদেরকেই দুধ খেতে হচ্ছে। দুধ ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, বাইরে ছানা বা পনির যেতে শুরু না করলে দুধ বাড়িতেই খেতে হবে। এলাকার সবার বাড়িতেই গোরু রয়েছে। তাই গ্রামের কেউ দুধ কিনবে না। একমাত্র উপায় হল তা শহরে পাঠানো। কিন্তু এখন সেই পথও বন্ধ। তাই বাড়িতে দুধ, ভাত খেয়েই দিন কাটানো ছাড়া উপায় নেই।