পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
করোনা মোকাবিলায় রবিবার দুপুরে বর্ধমান জেলাশাসকের অফিসে একটি প্রশাসনিক বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেখানে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, জেলাশাসক বিজয় ভারতী, সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, সহকারী সভাধিপতি দেবু টুডু, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণবকুমার রায় সহ সকলেই উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে জেলার ২৩টি বিডিও অফিসের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সও করা হয়। কোন ব্লকে কী প্রয়োজন, কোথায় কী সমস্যা তা জানতে চাওয়া হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রী বলেন, বহু মানুষ রেশন কার্ডের আবেদন করেছিলেন। তাঁদের অনেকের ফাইনাল লিস্টে নামও উঠে গিয়েছে কিন্তু, হাতে রেশন কার্ড পাননি। এই সময় তাঁদের যাতে অসুবিধা না হয় তার জন্য সকলকেই রেশন দেওয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভিড় এড়াতে জেলার সমস্ত রেশন দোকানকে এখন রোজ এবং সারাদিন খুলে রাখতে বলা হয়েছে। কেউ তা অমান্য করলে প্রশাসন ব্যবস্থাও নেবে।
মন্ত্রী বলেন, জেলার ইটভাঁটা মালিকদের বলা হয়েছে, তাঁদের শ্রমিকদের খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। অনেকেই ভিন রাজ্যে কাজ করেন। প্রতিটি বিডিও অফিস থেকে তাঁদের তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে। সেই তালিকা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। জেলার ১৬টি বিধানসভায় ১৪ জন তৃণমূল বিধায়ককে করোনা মোকাবিলায় তহবিল থেকে অনুদান দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে, বিদেশ বা ভিন রাজ্য থেকে ফিরে পূর্ব বর্ধমান জেলায় যাঁরা হোম কোয়ারেন্টাইনে, তাঁদের বাড়িতে কোয়ারেন্টাইন নোটিশ দিচ্ছে প্রশাসন। তাতে লিখে দেওয়া হচ্ছে, ওই পরিবারের সদস্যরা কতদিন বাড়ির ভিতরে থাকবেন। এবং ওই সময়ে যাতে তাঁদের বাড়িতে কেউ না যান। করোনা সচেতনতায় মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ এদিন জীবাণুনাশক পোশাক পরে বর্ধমান শহরের কার্জন গেট চত্বরে হ্যান্ড মাইকে প্রচারও করেন।
এদিকে, করোনা নিয়ে একটি ভূয়ো অডিও রেকর্ড ছড়িয়ে পড়ায় পুলিসের কাছে অভিযোগ করল পশ্চিম বর্ধমান জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর। ওই অডিও রেকর্ডে বলা হয়েছে, সাঁকতোড়িয়ায় একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং অনেকে আক্রান্ত। পুলিস তদন্ত শুরু করেছে। এদিন হরিদ্বার থেকে ৩৯ জন আসানসোল ও বার্নপুরে ফিরেছেন। আসানসোল জেলা হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে সকলকেই ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিন মন্ত্রী মলয় ঘটক আসানসোল হাসপাতাল পরিদর্শনও করেন। তাঁর সঙ্গে সুপার নিখিলচন্দ্র দাসও ছিলেন। এদিন আসানসোলের বিভিন্ন জায়গায় আইএনটিটিইউসির পক্ষ থেকে অ্যাম্বুলেন্স চালকদের মাস্ক ও স্যানিটাইজার দেওয়া হয়। দুর্গাপুর বাসস্ট্যান্ড চত্বরে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিপদে পড়া মানুষদের খাওয়ানোরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।