বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিন বহরমপুর শহর স্যানিটাইজ করে দমকল। স্বর্ণময়ী বাজার, কাদাই, গোরাবাজার সহ বিভিন্ন এলাকায় ব্লিচিং, ক্লোরিন এবং ফিনাইল স্প্রে করা হয়েছে। অন্যান শহরগুলিতেও ধাপে ধাপে এই কাজ করা হবে। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় ২৬ হাজারের বেশি লোক রবিবার পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জেলায় ফিরেছেন। জেলার বর্ডার এলাকায় ২০হাজারের বেশি লোকজনের চেকিং করা হয়েছে। মুর্শিদাবাদে এখনও পর্যন্ত ৭০টি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার রয়েছে। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে দু’জন ভর্তি রয়েছেন। তবে জেলায় এখনও পর্যন্ত কেউ করোনা আক্রান্ত হয়নি। অনেকেই বিভিন্ন ধরনের গুজব ছড়িয়ে বাসিন্দাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ। স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে, করোনা সংক্রান্ত বিষয়ে কেউ তথ্য জানাতে চাইলে ৮৬৯৫৯০০৫০০ ট্রোল ফ্রি নম্বরে ফোন করতে পারেন। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, এই সময় সকলকেই সচেতনতার পরিচয় দিতে হবে। কেউ লালগোলা পাসেঞ্জারের ওই কামরায় থাকলে তাঁরা যেন সরাসরি স্বাস্থ্য কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। বাইরে থেকে যারা জেলায় ঢুকেছেন তাঁদের প্রত্যেককেই হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, জেলার বহু শ্রমিক দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে রয়েছেন। জেলার জনপ্রতিনিধিরা তাঁদের তালিকা তৈরি করে জেলা প্রশাসনের কাছে জমা দিচ্ছেন। মুর্শিদাবাদের তৃণমূলের মুখপাত্র অশোক দাস বলেন, সূতি, ডোমকল, জলঙ্গি, রেজিনগরের বহু শ্রমিক কেরল সহ দেশের নানা প্রান্তে আটকে রয়েছেন। তাঁদের পরিবার আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। আমরা তালিকা তৈরি করে জেলা প্রশাসনের নোডাল অফিসারের কাছে জমা করছি। জেলা প্রশাসন সেই সমস্ত রাজ্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের সহযোগিতার চেষ্টা করছে।