বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিকে ওই বউভাতের অনুষ্ঠানে এগরা পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান, বর্তমান বোর্ডের ভাইস চেয়ারপার্সন সহ অনেক বিশিষ্ট লোকজন উপস্থিত ছিলেন। এই মুহূর্তে তাঁরা প্রত্যেকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। তারই মধ্যে শনিবার দু’জনের করোনার পজিটিভ রেজাল্ট আসার পর আতঙ্ক অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় গোটা এগরা শহর কার্যত স্তব্ধ।
প্রসঙ্গত, গত ১৩মার্চ এগরার দীঘা মোড় এলাকার বাসিন্দা পেশায় চিকিৎসক শুভাশিস মাইতির ছেলের বিয়ে ছিল। সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে বিদেশ থেকেও কয়েকজন যোগ দিয়েছিলেন। বিয়ের অনুষ্ঠানে এসে দীঘায় বেড়াতে গিয়ে ১৮তারিখ নাগাদ ওই চিকিৎসকের এক নিকট-আত্মীয় অসুস্থ হন। তড়িঘড়ি এগরায় ফিরে আসেন তিনি। তাঁকে এগরা শহরের আর এক চিকিৎসক তথা সুভাশিসবাবুর বন্ধু জ্যোতির্ময় মিশ্রের চেম্বারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে কম্পাউন্ডার শম্ভু জানা ইঞ্জেকশন দিয়েছেন। তারপর ২২তারিখ এগরা থেকেই পিয়ারলেস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই জানা যায়, তিনি করোনায় আক্রান্ত।
এই খবরেই এগরা শহরে আতঙ্ক ছড়ানোর শুরু। তারপর শনিবার সুভাশিসবাবুর স্ত্রী ও পিসিমা করোনা আক্রান্ত খবর আসতেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে শহরজুড়ে। এই মুহূর্তে চিকিৎসক জ্যোতির্ময়বাবু এবং তাঁর কম্পাউন্ডার দু’জনেই আইসোলেশনে আছেন। করোনা আক্রান্ত প্রৌঢ়কে দেখার পর জ্যোতির্ময়বাবু আরও অনেক রোগী দেখেছেন। তাঁর কম্পাউন্ডারও রোগীদের মধ্যে কাউকে কাউকে ইঞ্জেকশন দিয়েছেন এবং ওষুধপত্র তুলে দিয়েছেন। তাই সেইসব রোগীর মধ্যেও আতঙ্ক চেপে বসেছে।
সুভাশিসবাবুর ছেলের বিয়েতে মোট ৮০০জন আমন্ত্রিত ছিলেন। ২৬মার্চ শহরজুড়ে মাইকিং করে বউভাতের ভোজে অংশ নেওয়া প্রত্যেককে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিল। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে ৫৭২জন পরীক্ষা করাতে আসেন। প্রত্যেকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে ১৪দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে ২৭জনকে বেছে নিয়ে দু’জায়গায় ইনস্টিটিউশনাল কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়।
নয়াবাদের প্রৌঢ় মারফত সুভাশিসবাবুর স্ত্রী এবং পিসিমা আক্রান্ত হয়েছেন বলে চিকিৎকরা মনে করছেন। তাই এই সংক্রমণ আরও কতটা ছড়িয়েছে, সেটাই এখন ভাবনার বিষয়।
এদিকে এগরা পুরসভার ৮নম্বর ওয়ার্ডে উত্তরপ্রদেশের ৭২জন ফেরিওয়ালা আটকে পড়েছেন। পুরসভার পক্ষ থেকে রবিবার তাঁদের দু’ কুইন্টাল চাল ও ৫০কেজি আলু দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, এভাবে কতদিন দেওয়া যাবে, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন পুরসভার চেয়ারম্যান শঙ্কর বেরা।