পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবক গুজরাতে একটি সংস্থায় কাজ করেন। সেখান থেকে বিয়ের জন্য ছুটি নিয়ে কিছু দিন আগে তিনি কলকাতায় আসেন। ততক্ষণে রাজ্যবাসীকে করোনা আতঙ্ক গ্রাস করেছে। কলকাতায় কিছুদিন ফ্ল্যাটে থেকে তিনি বহরমপুরে চলে আসেন। এরপরেই চূড়ান্ত বিয়ের প্রস্তুতি নিতে থাকেন। এই কঠিন সময়ে নতুন জীবনে পথ চলার শপথ নেওয়ার দিনক্ষণ দুই বাড়ির গৃহকর্তাদের পিছিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন এলাকার সচেতন লোকজন। কিন্তু কে শোনে কার কথা। ছেলে ইঞ্জিনিয়ার বলে কথা। তিনি কি অন্যের কথায় কান দেন? তাই কোনওকিছুর পরোয়া না করেই তিনি বিয়ে সারেন বলে স্থানীয়দের দাবি। ডোমকলের বৃন্দাবনপুরের পাত্রীর বাড়ির একজন বলেন, বাড়িতে আত্মীয়স্বজন কাউকে ডাকিনি। শুধু পাড়ার লোকজনদের ডেকেছিলাম। পাত্রও কম লোকজন নিয়েই বিয়ে করতে এসেছিলেন। আমরা তো নিয়ম ভাঙিনি। আরেক আত্মীয় বলেন, করোনার ভয় রয়েছে বলেই আমরা বিয়েবাড়িতে যাইনি। আমি ডোমকলে থাকি। তাই অন্য সময় হলে নিশ্চয়ই বিয়েবাড়িতে যেতাম। পাত্রর বাড়ির একজন বলেন, গাড়িতে চার-পাঁচজনকে সঙ্গে নিয়ে পাত্র বিয়ে করতে গিয়েছিল। কোনও সমস্যা হয়নি। তাছাড়া পাত্র গুজরাত থেকে ফিরে তো কলকাতায় ফ্ল্যাটে বেশ কিছুদিন ছিল। ও সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছে। তাই বিয়ে করেছে।
জেলার এক পুলিস আধিকারিক বলেন, বিয়ে বন্ধ করার নিয়ম নেই। তবে জমায়েত করতে দেওয়া যাবে না। কেউ যদি সচেতন না হয় তাহলে আর কী করা যাবে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, লকডাউন ভাঙা উচিত নয়। নিজেদেরকেই সচেতন হতে হবে।
মুর্শিদাবাদে অবশ্য করোনা আতঙ্কের মধ্যে জলঙ্গিতেও কয়েক দিন আগেও বিয়ে আসর বসেছিল। তা দেখে কেউ বলছেন, ভালোবাসাকে কোনও শক্তি হার মানাতে পারে না। আবার কেউ কেউ বলছেন, প্রেমকে জয় করতে গিয়ে নিজের এবং পরিবারের বিপদ ডেকে না আনাই ভালো।