গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজধানী এক্সপ্রেসে কারা তাঁর সহযাত্রী ছিলেন তাঁদের খোঁজা অনেকটাই সুবিধার। কিন্তু সকাল ১০টা ২০এর লালগোলা প্যাসেঞ্জারে কারা তাঁদের সংস্পর্শে এসেছেন তা খোঁজা অত্যন্ত কঠিন। রবিবার সকালে কাটোয়া থানার অন্তর্গত চরকবিরাজপুরের বাসিন্দা এক মহিলা নিজে স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিন লালগোলা প্যাসেঞ্জারে ওই পরিবারের সহযাত্রী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসিতকুমার দেওয়ান বলেন, ওই মহিলা নিজে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। আমরা তাঁর স্ক্রিনিং করিয়ে কৃষ্ণনগরে কোয়ারেন্টাইনে পাঠাচ্ছি। আমাদের আবেদন, এভাবে বাকিরাও যদি এগিয়ে আসেন তবে আপনারাও নিজেদের এবং অন্যদের সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতে পারবেন। জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের এক কর্তার কথায়, এই পরিবার বহু জায়গায় গিয়েছে। বহু মানুষ তাঁদের কাছে গিয়েছে। সবাইকে চিহ্নিত করার কাজ চলছে। তবে নদীয়ার এই ঘটনার পর রীতিমতো আতঙ্কে ভুগছেন গোটা জেলাবাসী।
তেহট্ট-২ ব্লকে পলাশীপাড়া থানার বার্নিয়া গ্রামে একটি বাড়িতে অনুষ্ঠান উপলক্ষে গিয়েছিলেন তাঁরা। গোটা এলাকার মানুষই চরম আতঙ্কিত। ভয়ে সকলে পুরোপুরি গৃহবন্দি। বাজার-হাট, পুকুর পাড় সব জায়গা শুনশান। তেহট্ট-২ ব্লকের বিডিও শুভ সিংহরায় বলেন, রাজ্যের নগরোন্নয়ন দপ্তরের সহযোগিতায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এদিন ওই এলাকা এবং তার আশেপাশে সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড দিয়ে জীবাণুমুক্ত করার কাজ হয়েছে। এদিকে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় ২৯ মার্চ পর্যন্ত করোনা সন্দেহে ভর্তি হয়েছেন ৩০ জন। নতুন করে একজন জেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। জেলার পজিটিভ কেস ৫টি। জেলায় আইসোলেশন সেন্টার সাত এবং ৯২টি বেড প্রস্তুত। মোট ২৪ হাজার ১১১ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। পুলিস এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে দুঃস্থদের খাবার বিতরণের কাজ হচ্ছে। কৃষ্ণনগর জেলা পুলিস বিভিন্ন গাড়ি বা সরঞ্জামও মাঝেমধ্যেই জীবাণুমুক্ত করার কাজ করছে। এদিন গোটা জেলায় লক ডাউনের চিত্রটা মোটামুটি একইরকম ছিল। বড় অংশের মানুষ গৃহবন্দি। তবে বাজারের সময় জটলা বিভিন্ন জায়গাতেই তৈরি হচ্ছে। তেহট্টের ঘটনায় নদীয়াবাসী এখন আতঙ্কিত। তার ছাপ পড়েছে রাস্তাঘাট, বাজার-হাটেও। লোক কমতে শুরু করেছে সব জায়গাতেই।