গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের দেওয়া টাকায় স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য প্রায় ১ লক্ষ থ্রি-লেয়ার মাস্ক কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রত্যন্ত গ্রামে কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে সাধারণত তাঁকে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হবে। তাই সেখানকার চিকিৎসকদের পার্সোন্যাল প্রোকেক্টিভ ইকুইপমেন্টের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ঠিক হয়েছে, জেলায় স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য প্রায় ৫০০০ এই পোশাক কেনা হবে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরিশচন্দ্র বেরা বলেন, সব স্তরের স্বাস্থ্যকর্মীর মাস্ক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রায় ২০ হাজার স্যানিটাইজার কেনা হবে। পাঁচটি ভেন্টিলেটর কেনা হচ্ছে। তার মধ্যে তিনটি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জন্য কেনা হচ্ছে। আর খড়্গপুর এবং ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালের জন্য একটি করে ভেন্টিলেটর কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বাস্থ্যদপ্তরের পক্ষ থেকে জেলা পরিষদে যে তালিকা দেওয়া হয়েছিল, তার জন্য ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ হাজরা বলেন, করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্যদপ্তরের পাশাপাশি জেলা প্রশাসন, পুলিস প্রশাসন একযোগে কাজ করছে। রাজ্য সরকারের কাছ থেকে আর্থিক বরাদ্দ পাওয়ার পর স্বাস্থ্যদপ্তরের পাশাপাশি জেলা প্রশাসন, পুলিস প্রশাসনের কর্তাদের আর্থিক বরাদ্দ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পুলিস প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্যানিটাইজার, মাস্ক সহ বেশকিছু জিনিসপত্র কেনার কথা জানানো হয়েছিল। এই বাবদ আমরা ৭০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছি। জেলাশাসককে ২০ লক্ষ টাকা, পুলিস সুপারকে ১০ লক্ষ টাকা, বিডিও, থানার আইসি, ওসিদের এক লক্ষ টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ব্লক হাসপাতালের বিএমওএইচদের গাড়ির তেল খরচ বাবদ ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। এরপরেও টাকা বাঁচলে তা ফান্ডে থাকবে। শনিবারই সন্ধ্যায় জেলা পরিষদে জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্মকর্তা, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষদের নিয়ে এক বৈঠকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।