রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
পাইকর থানা এলাকার প্রায় ৭০জন শ্রমিক হায়দরাবাদে আটকে রয়েছেন। এছাড়া মুরারইয়ের রাজগ্রাম এলাকার ৫০জন রাঁচি ও পাঁচজন পাঞ্জাবে রয়েছেন। তাঁরা স্যোশাল মিডিয়ায় ভিডিও বার্তার মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গ্রামে ফেরানোর আর্জি জানিয়েছেন। তাঁদের দাবি, তাঁরা সেখানে খাবার ঠিকমতো পাচ্ছেন না। যৎসামান্য টাকা দিয়ে পণ্য সামগ্রীও কিনতে পারছেন না। মুরারই-১ এর বিডিও নিশীথ ভাস্কর পাল বলেন, ভিনরাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। জেলাশাসকের কাছে তথ্য পাঠিয়ে তাঁদের ফেরানোর প্রক্রিয়া করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, এদিন রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের আইসোলেশন বিভাগে দিল্লি থেকে ফেরা এক যুবক ভর্তি রয়েছেন। মেডিসিন বিভাগের প্রধান মৈত্রী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তাঁর সমস্তরকম চিকিৎসা চলছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁর বাড়ি থেকে কেউ আসেননি।
মেডিক্যালের স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের পিপিই পোশাক না থাকায় তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। যদিও মেডিক্যাল কলেজের ডেপুটি সুপার শর্মিলা মৌলিক বলেন, রাজ্যে পোশাক চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। রামপুরহাট পুরসভার তরফে ১৮টি ওয়ার্ডে গরিব মানুষদের জন্য ২০হাজার মাস্ক ও সাড়ে চার হাজার জীবাণুনাশক সাবান বিলি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, লকডাউনের জেরে বহু দুঃস্থ পরিবারে আর্থিক দুরবস্থা দেখা দিয়েছে। এদিন মুরারইয়ের সিআই দেবর্ষি সিনহা, কনস্টেবল সমর হালদার সহ বেশ কিছু পুলিসকর্মী তাঁদের বেতনের টাকা থেকে খাদ্যসামগ্রী কিনে সেইসমস্ত দুঃস্থ পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর প্রয়াস নিয়েছেন। সেইমতো এদিন নলহাটির কাঙলাপাহাড়ি, কালিকাপুর ও পাইকর থানার কুশমোড় গ্রামের ৫০০টি পরিবারের হাতে রেশন সামগ্রী তুলে দেন। সমরবাবু জানান, তাঁরা বড় আকারে আরও বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছনোর উদ্যোগ নিয়েছেন। অন্যদিকে, তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি তথা প্রতিষ্ঠিত পাথর ব্যবসায়ী আলি খান রাজগ্রামে নিজের বাড়ি থেকে কয়েক হাজার দুঃস্থকে পণ্যসামগ্রী ও টাকা বিলি করেন।
বোলপুরেও বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি দুঃস্থদের সাহায্য করেন। সেখানেও এদিন লকডাউনের ভালো প্রভাব পড়ে। সিউড়িতে এদিন লকডাউনের জেরে রাস্তাঘাট ফাঁকাই ছিল। তবে সকালের দিকে বাজারগুলিতে ভিড় হয়। কিছু জায়গায় অন্য দোকানও খোলা দেখা যায়। তবে পুলিসের নজরদারি এদিন অনেকটাই শিথিল ছিল। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় এখনও পর্যন্ত ৮হাজার ৯৯৯জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। নন হোম কোয়ারেন্টাইনের সংখ্যা ১০৮জন। আইসোলেশনে রয়েছেন ৩৩জন।