বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
এদিন করোনা আতঙ্কে কাটোয়া থেকে উত্তর প্রদেশের এক বৃদ্ধকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের দাবি, তাঁর সাধারণ জ্বর-সর্দি হয়েছে। ভিন রাজ্যের হওয়ায় ভর্তি রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার নেপালের এক ব্যক্তিকে ঘিরে গুসকরায় আতঙ্ক ছড়ায়। পরে জানা যায়, তিনি ভারত ভ্রমণে এসে আটকে পড়েছেন। তবুও তাঁকে গুসকরা হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়।
ভিড় না করে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার জন্য এদিন সকালে বর্ধমানের পুলিস লাইন বাজারে সচেতনতায় নামেন খোদ পূর্ব বর্ধমানের পুলিস সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়। মন্ত্রী স্বপন দেবনাথও জীবাণুনাশক পোশাক পরে মাইক নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করেন। এদিন জামালপুরের সাহাপুরে পুলিস ও সিভিক ভলান্টিয়াররা করজোড়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করেছেন। অপরদিকে, কলকাতায় রোগী নামিয়ে ফেরার সময় অ্যাম্বুলেন্সে যাত্রী তোলার অভিযোগে বর্ধমানের কার্জন গেট চত্বরে দুই চালক সহ আটজনকে আটক করা হয়েছে। বেআইনিভাবে চাল, আটা ও কেরোসিন মজুত করার অভিযোগে কালনার বেলেডাঙায় শুভান সরেন নামে এক দোকানদারকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
লকডাউনে রক্তের আকাল দেখা দেওয়ায় এগিয়ে এসেছে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিস। কারণ, এখন সব ক্যাম্প বন্ধ। বৃহস্পতিবার থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পুলিস কর্মীরা রক্ত দিতেও শুরু করেছেন। প্রতিদিন ১০ জন পুলিস কর্মী রক্তদান করবেন। আগামী ২০ দিন চলবে। এদিকে, লকডাউনের সময় বর্ধমান শহরের একাধিক মসজিদ কমিটিও একসঙ্গে অনেকের প্রবেশ নিষেধ করেছে। বাইরে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘ইমাম, মোয়াজ্জেম সহ সাতজনের বেশি মসজিদে জমায়েত করা যাবে না’। আসানসোলের বেশিরভাগ মসজিদে শুক্রবার সাধারণ মানুষকে ভিড় না করার আবেদন করা হয়েছিল। মসজিদে কেবল ইমাম ও মোয়াজেম্মরাই নামাজপাঠ করেছেন। অন্যদিকে, কম শ্রমিক নিয়েও রাইস মিলগুলি কীভাবে চালু রাখা যায় সে ব্যাপারেও বৈঠক করেছে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন।
আসানসোল ও দুর্গাপুর পুরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে দুঃস্থদের খাবার জন্য চাল বিতরণ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আসানসোলে ওয়ার্ড প্রতি আড়াই কুইন্টাল এবং দুর্গাপুরে ওয়ার্ড প্রতি ৫ কুইন্টাল বরাদ্দ হয়েছে। অন্যদিকে, নদীয়া থেকে ফেরার সময় কাঁকসায় আটকে পড়েছেন কর্ণাটকের ৩১ জন বাসিন্দা। পুলিস তাঁদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে। এদিন কুলটি থানা থেকেও এক সদ্যোজাত, দুইশিশু ও তিন মহিলাকে ছত্তিশগড়ে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাঁরা ২৪ মার্চ থেকে আটকে ছিলেন। চেন্নাই থেকে ফিরে জামুড়িয়ায় এক দম্পতি অসুস্থ হয়ে বাড়িতেই পড়েছিলেন। মেয়র পরিষদ সদস্য পূর্ণশশী রায় তাঁদের উদ্ধার করে আসানসোলে জেলা হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। এদিনও দুই বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গায় পুলিসের পক্ষ থেকে দুঃস্থ ও ভবঘুরেদের খাবার তুলে দেওয়া হয়েছে।