কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ঘাটাল মহকুমার যুবকদের একটা বড় অংশ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে রয়েছেন। তাঁদের কেউ সোনা, কেউ বা জরির কাজ করেন। ঘাটাল থানার রঘুনাথপুরের তাহের আলি, ভগীরথপুরের আসাদুল ভুঁইঞা, ঘোলসাইয়ের জয়দেব সাঁতরা বলেন, আমরা মুম্বই মাথানগরে জরির কাজ করি। কারখানা থেকে কিছুটা দূরে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকি। লকডাউনের জন্য কারখানা বন্ধ। মালিকের দেখা নেই। আমাদের ফি সপ্তাহে মজুরি দেওয়া হয়। এলাকায় বাজার বন্ধ। হাতে টাকা নেই। তাই লকডাউনের পরের দিন থেকে পেট ভরে খেতেও পাচ্ছি না। বাড়িও যেতে পারছি না। জয়দেববাবু বলেন, সামনের একটি মসজিদ থেকে দিনে একবার করে খিচুড়ি দিয়ে যায়। সেটাই খাই।
মুম্বইয়ের মাটিগলিতে সোনার কাজ করেন দাসপুর থানার চাঁইপাটের পলাশ মাইতি, বিকাশ মণ্ডল, দাসপুর গঞ্জের নিমাই জানা সহ বহু যুবক। তাঁরা প্রত্যেকেই কারিগর। থাকেন একটি বাড়ির তিনতলায়। লকডাউনের পর থেকে তাঁরা নীচে নামতে পারছেন না। নামলেই পুলিস পেটাচ্ছে বলে অভিযোগ। তাই তাঁদের মুড়ি খেয়েই কাটাতে হচ্ছে। মুড়িও আর স্টকে নেই। বেঙ্গালুরুর জেপিনগর থেকে ঘাটাল থানার বাসিন্দা আব্বাস আলি মোল্লাও একই অভিজ্ঞতার কথা জানালেন।
মুম্বই টাটা ক্যানসার হাসপাতালে মাকে দেখাতে গিয়ে প্রায় অনাহারে কাটাচ্ছেন চন্দ্রকোণা থানার গোপালপুর গ্রামের শেখ মোজাম্মেল আলি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। দিলীপবাবু বলেন, এই ধরনের বহু ঘটনার কথা আমরা নিয়মিত জানতে পারছি। কিন্তু, সমাধানের কোনও পথই নেই।