বিএনএ, বর্ধমান ও সংবাদদাতা, দুর্গাপুর: লকডাউনের জেরে পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার, বর্ধমান-১ এবং মঙ্গলকোট এলাকার ৪১ জন শ্রমিক কেরলের মালাপুরম জেলার কুলআরাঙ্গি এলাকায় আটকে পড়েছে। তার মধ্যে ভাতারের ভাটাকুল গ্রামের আটজন শ্রমিক রয়েছে। তাদের মধ্যে শেখ বিল্লাল নামে এক শ্রমিক বৃহস্পতিবার বিকেলে পূর্ব বর্ধমানের বাম ছাত্র-যুব নেতা সৌমেন কার্ফাকে ফোন করে সমস্যার কথা বলেন। সৌমেনবাবুর বাড়িও ভাতারে। তাই সঙ্গে সঙ্গে মানবিক উদ্যোগ নিয়ে তিনি কেরল সিপিএমকে বিষয়টি জানান। সৌমেনবাবু তাঁদের ফোন নম্বর ও ঠিকানাও দিয়ে দেন। সৌমেনবাবু বলেন, সেই সূত্র ধরে কেরলের নেতৃত্ব বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই ওই ৪১ জনের কাছে পৌঁছে যান। তাঁদের খাবার, পানীয় জল ও প্রয়োজনীয় ওষুধের ব্যবস্থা করেছেন। আমি বিষয়টি বিডিও এবং জেলা পুলিসকেও জানিয়েছি। যাতে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে তাঁদের ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়।
অন্যদিকে, কর্মসূত্রে এসে মুর্শিদাবাদের ৪০০ জন শ্রমিক দুর্গাপুরে আটকে পড়েছিলেন। ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সুস্মিতা ভুঁই শুক্রবার তাঁদের সকলকে বাড়ি ফেরানোর ববস্থা করেন। এদিন দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার ৪টি বাসে করে তাঁদের মুর্শিদাবাদে পাঠানো হয়েছে। সুস্মিতা ভুঁই বলেন, ওই শ্রমিকেরা আমার কাছে এসে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। তারপরই সম্পূর্ণ নিঃখরচায় তাঁদের বাড়ির ফেরানোর হল।