গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
অন্যদিকে, লকডাউন উপেক্ষা করেই এদিন সকাল থেকেই জেলার বিভিন্ন জায়গায় বাজার, মুদিখানা ও ওষুধের দোকানে মানুষের ভিড় দেখা য়ায়। পুলিস প্রাশাসনের তরফে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হলেও গাদাগাদি করে জিনিস কেনার জন্য ভিড় করেন অনেকেই। পুলিস ও প্রশাসনের তরফে বাঁকুড়া শহর, ইন্দপুর, ছাতনা, বড়জোড়া, খাতড়া সহ বিভিন্ন জায়গায় রেশন দোকান, মুদিখানা, সব্জির দোকানের সামনে দূরত্ব বজায় রাখতে চক, রং দিয়ে নির্দিষ্ট দূরত্ব অন্তর দাগ কেটে দেওয়া হয়। কিন্তু তা উপেক্ষা করেই বহু জায়গাতেই মানুষ ভিড় জমান। এদিনও মানুষের মধ্যে জিনিসপত্র মজুতের হিড়িক দেখা যায়। ওষুধ, শাকসব্জি থেকে শুরু করে দুধ, চাল, ডাল, আলু কেনার হিড়িক ছিল চোখে পড়ার মতো। এই সুযোগে বহু বিক্রেতা জিনিসপত্রের দাম বাড়ান। এদিন সকালে বাঁকুড়ার বিভিন্ন বাজারে হানা দেন পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দিলীপ আগরওয়াল ও চেয়ারম্যান মহাপ্রসাদ সেনগুপ্ত। পাশাপাশি পুলিসের তরফেও বিভিন্ন বাজারে কালোবাজারি বন্ধ ও দূরত্ব বজায় রেখে সাধারণ মানুষকে জিনিস কেনার জন্য আবেদন জানানো হয়। তবে, এদিন সকাল থেকেই বাঁকুড়া জেলা সদর থেকে শুরু করে বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকায় প্রয়োজন ছাড়াই বহু মানুষ রাস্তায় বের হন। তাঁদের সতর্ক করতে মাইকিং, নাকা চেকিং ও বিশেষ ক্যাম্পেনিং করে জেলা পুলিস। এছাড়াও পুলিস ও শহরের দুটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে বিভিন্ন এলাকায় থাকা ভবঘুরে ও ভিক্ষুকদের খাবারের প্যাকেট তুলে দেওয়া হয়। বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম প্রধান বলেন, তিনজনকে আইসোলেসনে ভর্তি করা হয়েছে। তবে, প্রত্যেকেই সুস্থ রয়েছেন। তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠিয়েছি। রিপোর্ট এলে বোঝা যাবে তাঁরা আক্রান্ত কি না। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই।