কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
জানা গিয়েছে, সিউড়ি শহরের টিন বাজারে দীর্ঘদিন ধরে সব্জি বাজার বসত। কিন্তু সংকীর্ণ এলাকার মধ্যে ওই বাজার থাকায় বৃহস্পতিবার তা স্থানান্তর করে দেওয়া হয়। সিউড়ি-সাঁইথিয়া বাইপাসে কুলেরা এলাকায় রাস্তার ধারে ওই বাজার এদিন থেকে বসে। কিন্তু সেখানেও এদিন ক্রেতাদের ভিড় জমে যায়। অন্যদিকে, হাটজনবাজারের সব্জি বাজারকেও স্থানান্তর করে কৃষক বাজারে বসানো হয়েছে। তাছাড়া সাঁইথিয়ার হাটতলা এলাকার বাজারও মূল রাস্তায় বসানো হচ্ছে। সাঁইথিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান বিপ্লব দত্ত বলেন, ভিড় এড়াতেই বাজারটিকে স্থানান্তর করা হয়েছে।
রামপুরহাট স্টেশনে থাকা প্রায় ৬৭জন ভবঘুরের দু’বেলা খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে মহকুমা প্রশাসন ও স্থানীয় সাংবাদিকরা। এদিন থেকে সেই ব্যবস্থা শুরু হয়। লকডাউন চলাকালীন তাঁদের খাওয়ানো হবে বলে প্রশাসন জানিয়েছে। তবে এদিন লকডাউন ভেঙে সকাল থেকে রামপুহারহাটের সব্জি বাজারগুলিতে ক্রেতাদের ঢল নামে। বাজারে আসা ক্রেতাদের দাঁড়ানোর জন্য চক দিয়ে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখার জন্য দাগ কেটে দেওয়া হয়। পুলিস ও প্রশাসনের সক্রিয়তার জেরে সকাল ১০ টার পর ভিড় ফিকে হতে থাকে। কিন্তু কিছু মানুষজনকে উদ্দেশ্যহীনভাবে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করতে দেখা গিয়েছে। জেলার গ্রামাঞ্চলে এই চিত্র প্রকট। তার ফলে করোনা সংক্রমণের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। এদিকে বিশ্ব শান্তির উদ্দেশ্যে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশে তারাপীঠে মায়ের পাদপদ্মে মহাযজ্ঞ শুরু করা হয়েছে। দলের কর্মীরাই সেই যজ্ঞ করছেন। সেখানে উপস্থিত রয়েছেন রামপুরহাট-২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি সুকুমার মুখোপাধ্যায়, জেলার সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব ভট্টাচার্য। মহাযজ্ঞ করছেন তারাপীঠের প্রবীণ সেবাইত অভয়চাঁদ ভট্টাচার্য। অন্যদিকে, তারাপীঠ মন্দির বন্ধ থাকায় পুণ্যার্থী শূন্য। লকডাউনের জেরে এই তীর্থক্ষেত্রে সাধু-সন্তদের একপ্রকার খালি পেটেই থাকতে হচ্ছিল। ব্লক তৃণমূলের উদ্যোগে তাঁদের দু’বেলা খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সুকুমারবাবু বলেন, রাজ্য তথা ভারতবর্ষ থেকে করোনা আক্রমণ মুক্ত হোক। তারাপীঠে মায়ের কাছে মহাযজ্ঞের মাধ্যমে এই প্রার্থনা জানিয়েছি। জেলা সভাপতির নির্দেশেই এই মহাযজ্ঞ করা হল।
অন্যদিকে, বোলপুরের হাটতলায় আগামী শুক্রবার থেকে বাজার বন্ধের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও পরে তা পরিবর্তন করা হয়। সেখানেই বাজার বসবে বলে সিদ্ধান্ত নেয় মহকুমা প্রশাসন। তবে এদিন হাটতলার বাজারে ভিড় তুলনামূলক কম ছিল। এছাড়া বোলপুর সংলগ্ন কয়েকটি গ্রামে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে বাঁশ পোঁতা হয়েছে। গ্রামে বহিরাগত প্রবেশ নিষিদ্ধ বলে পোস্টারও দেওয়া হয়েছে।