বাংলা নিউজ এজেন্সি: লক ডাউন সত্ত্বেও নদীয়া জেলার বিভিন্ন জায়গায় বহু মানুষের জটলা তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। বাজারেও ভিড় হচ্ছে। তবে বৃহস্পতিবার রানাঘাট মহকুমা মোটের উপর সকাল থেকে ছিল বেশ ফাঁকা। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির অভিযোগ তুলেছেন ক্রেতারা। শান্তিপুরের নৃসিংহপুর ফেরিঘাট, বাসস্ট্যান্ড ছিল শুনশান। শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য বৃহস্পতিবার সকালে নিজের গাড়ির ছাদে মাইক বেঁধে সচেতনতা প্রচারে নামেন। তৎপরতা দেখা যায় পুলিস-প্রশাসনের মধ্যেও। রানাঘাটের সিপিএম বিধায়ক রমা বিশ্বাস তাঁর বিধায়ক তহবিল থেকে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত চিকিৎসার জন্য ১০লক্ষ টাকা দান করেছেন। শহরগুলির পাশাপাশি গ্রামগুলিতেও ছিল একই চিত্র। রাস্তাঘাট ছিল শুনশান। তবে জরুরি পরিষেবা পেতে মানুষের কোনও অসুবিধা হয়নি। শান্তিপুরের চেয়ারম্যান অজয় দে সকাল থেকে রাস্তায় নামেন। বিভিন্ন ব্যাঙ্কের সামনে গিয়ে গ্রাহকদের দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়ানোর অনুরোধ করেন। অন্যদিকে, রানাঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় শহরের বাজারগুলিতে গিয়ে বেশি জমায়েত না করার অনুরোধ করেন। কৃষ্ণনগর সদর মহকুমায় রাস্তায় নামেন পুলিস-প্রশাসনের পদস্থ কর্তারা। তবে সকালের দিকে একাধিক বাজারে গাদাগাদি করে বাজারের চিত্র চোখে পড়েছে।
তেহট্ট মহকুমাজুড়ে লক ডাউন অমান্য করে রাস্তায় মানুষজন বের হলেও সকাল থেকে তৎপর ছিল প্রশাসন। জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় সব্জি বাজার, মুদির দোকান বা ওষুধের দোকান, ব্যাঙ্ক, এটিএম সহ জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে প্রশাসন দূরত্ব মেপে মার্কিং করে দিয়েছে। নবদ্বীপে বাজারগুলিতে ভিড় এড়াতে নবদ্বীপ ব্যবসায়ী সমিতি বুধবার মাইকিং করে জানিয়ে দেয়, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত জরুরি পরিষেবার দোকানগুলো খোলা থাকবে। এদিন বেলা ১১টা বাজতেই শহরের বিভিন্ন বাজার বন্ধ করে পুলিস। নবদ্বীপ পুরসভার চেয়ারম্যান বিমানকৃষ্ণ সাহা বলেন, বাড়ি থেকে না বের হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রচার করা হচ্ছে। শহর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা ও দুঃস্থ মানুষদের শুকনো খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এজন্য পুরসভার হেল্পলাইন চালু করা হয়েছে। যার নম্বর ৭০০১১০৫৩৪৪। শুক্রবার মসজিদে একসঙ্গে জড়ো না হয়ে বাড়িতেই নামাজের জন্য গত কয়েকদিন ধরে পুলিস বিভিন্ন থানা এলাকার মসজিদের ইমামদের সঙ্গেও আলোচনা সেরেছেন। জেলার হেল্পলাইন নম্বর-৭৫৪৮৯৭৫৩০৩