পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
এদিন সকালে মেদিনীপুর শহরের বিভিন্ন সব্জি বাজারে চেনা ভিড়ের ছবিই দেখা গিয়েছে। শহরের মিঁয়া বাজার এলাকায় রাস্তার দু’ধারে বাজার বসেছে। বিক্রেতাদের মাস্ক পরে সব্জি বিক্রি করতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু, সব্জি বাজার ঘিঞ্জি হওয়ায় ক্রেতাদের ভিড় চোখে পড়েছে। একই জায়গায় দাঁড়িয়ে অনেকে বাজার করেছেন। শহরের অন্যান্য দোকানপাট বন্ধ থাকলেও মুদির দোকান, শপিং মল খোলা ছিল। এমনিতেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে দোকানের সামনে দূরত্ব বজায় রেখে ক্রেতাদের দাঁড়াতে বলা হয়েছে। বহু জায়গায় সাদা রং দিয়ে গোল করে দাগও দেওয়া হয়েছে। এদিন সকালে রাজাবাজারে একটি দোকানের সামনে ক্রেতাদের সুশৃঙ্খলভাবে দূরত্ব বজায় রেখে সাদা রিংয়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে কেনাকাটা করতে দেখা গিয়েছে।
এদিকে শহরের বিভিন্ন জায়গায় ভবঘুরেদের জন্য এদিন পুরকর্মীরা খাবারের ব্যবস্থা করেন। পুরসভার প্রশাসক তথা মেদিনীপুর মহকুমা শাসক দীননারায়ণ ঘোষ বলেন, বুধবার থেকে আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। এখন নিয়মিতভাবে তাঁদের খাবার সরবরাহ করা হবে। এছাড়া এদিন শহরের বটতলাচক, কেরানিতলা, এলআইসি মোড় এলাকায় নিয়ম লঙ্ঘন করে যারা বাইক নিয়ে বেরিয়েছিল, পুলিসকর্মীরা তাদের বুঝিয়ে বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করেছেন। খড়্গপুর শহরের ইন্দা, খরিদা, কৌশল্যা এলাকায় এদিন সকালে সাধারণ মানুষের জটলা দেখা গিয়েছে। টহলরত পুলিস এসে এলাকা জটলামুক্ত করেছে। কেনাকাটার জন্য মুদির দোকানের সামনে সাদা রিংয়ের মধ্যে ক্রেতাদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু, সব্জি বাজারগুলিতে অবশ্য এদিনও সেই চেনা ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। তবে, সবং, ডেবরা, গড়বেতা, চন্দ্রকোণা, নারায়ণগড়, বেলদা এলাকায় তুলনামূলকভাবে রাস্তায় লোকজন কম ছিল। অধিকাংশ দোকানপাট ছিল বন্ধ। চন্দ্রকোণা রোড এলাকায় জমিতে বহু চাষিকে এদিনও আলু তুলতে দেখা গিয়েছে।
অন্যদিকে, ঘাটাল শহরে এদিন নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের পুলিস কান ধরে ওঠবস করিয়েছে। শহরের প্রগতি বাজারটি সরিয়ে বিদ্যাসাগর স্কুলমাঠে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। শহরের কয়েকটি ঘিঞ্জি বাজার সরিয়ে ফাঁকা জায়গায় বসানো হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষ দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা করতে পারছেন। শহরের পাশাপাশি এই মহকুমার গ্রামীণ এলাকায় পুলিস নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে। পাড়ার মোড়ে জটলা দেখলেই পুলিস লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করছে। পুলিসের কড়া ভূমিকায় এদিন রাস্তাঘাটে খুব কম লোকজন বেরিয়েছে। ঘাটাল শহরেও ভবঘুরেদের জন্য এদিন পুলিস প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।