কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনার জেরে লকডাউন শুরুর দু’একদিন আগে থেকেই বন্দরে স্থায়ী ও অস্থায়ী শ্রমিক কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ দানা বাঁধে। শ্রমিকদের আশঙ্কা বন্দরে প্রতিদিনই বিদেশি জাহাজ ঢুকছে। সেখান থেকে করোনা ভাইরাস ছড়াতে পারে। তাছাড়া করোনার সংক্রমণ এড়াতে যখন জমায়েত এড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছে কেন্দ্র ও রাজ্য, তখন বন্দরের মধ্যে প্রতিদিন গড়ে পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার শ্রমিক কর্মচারী এক জায়গায় কাজ করা বিপজ্জনক। এখানে প্রতিদিন ভিনরাজ্য থেকে কয়েকশো ট্রাক ট্রেলার ঢুকছে। করোনা আতঙ্কে শ্রমিকদের বিক্ষোভের জেরে মঙ্গলবার রাত থেকে জাহাজে কার্গো হ্যান্ডেলিংয়ের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। বুধবার দিনভর শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করেন।
এই ঘটনার জেরে বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসে জেলা প্রশাসন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক পার্থ ঘোষ, পুলিস সুপার ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়, হলদিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান তথা বন্দরের শ্রমিক নেতা শ্যামলকুমার আদক, বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার(প্রশাসন) অমল দত্ত প্রমুখ। অমলবাবু বলেন, গ্যাস, পেট্রকেমিকেল কারখানা, বিদ্যুতের মতো জরুরি ক্ষেত্রের জন্য তিনটি অয়েল জেটি ও স্বয়ংক্রিয় কোল বার্থ চালু থাকবে। অয়েল জেটিতে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি কাজ হয়, বেশি লোকের প্রয়োজন হয় না। ডকের বাকি বার্থগুলিতে দাঁড়িয়ে থাকা জাহাজ বৃহস্পতিবারের মধ্যে খালি করে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে ১৩টি জাহাজ দাঁড়িয়ে রয়েছে। সেগুলি থেকে পণ্য ওঠানো বা নামানোর পর ডকের বাইরে বের করে দেওয়া হবে। আপাতত বন্দরের স্থায়ী কর্মীদের দিয়েই কাজ হবে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, অস্থায়ী কর্মীদের কত অংশ কাজ করতে চাইছে তা পরে খতিয়ে দেখা হবে। সেই অনুয়ায়ী দু’তিনদিন পর রিভিউ মিটিং করে বন্দরে জাহাজ ঢোকানো হবে কি না দেখা হবে।