পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
গ্রামের বাসিন্দা আনসার আলি বলেন, বিয়েবাড়িতে ভিড় হয়নি। বিয়ের ভোজ বাতিল করা হয়েছে। বিয়ের সময় দুই বাড়ির হাতেগোণা কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। পাত্রপক্ষও লোকজন আনেনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়ের বাড়ি জলঙ্গি থানার চক রামপ্রসাদপুর গ্রামে। বরের বাড়ি পাশের গ্রাম রানিনগর থানার রাধা গোবিন্দপুরে। চার কিলোমিটার দূর থেকে বাইক চালিয়ে পাত্র এদিন বিকেলের দিকে মেয়ের বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন। পাত্রর বাড়ির এক আত্মীয় বলেন, ১৫দিন আগে বিয়ে ঠিক হয়েছিল। তারপর থেকেই জোরকদমে বিয়ের সমস্ত জিনিসপত্র জোগাড় করা হয়েছিল। মেয়ের বাড়ির আর্থিক অবস্থা ভালো নয়। ওরাও অনেক কষ্ট করেই সবকিছু জোগাড় করেছিল। এই অবস্থায় বিয়ে বাতিল হয়ে গেলে দুই পরিবারের আর্থিক ক্ষতি হয়ে যেত। তাছাড়া দুই পরিবারের সকলেই সুস্থ রয়েছেন। পাত্র এলাকাতেই কাজ করে। কোনও দিন বাইরে যায়নি। তাই ঝুঁকি নেই। মেয়ের বাড়িও চাইছিল বিয়েটা নির্দিষ্ট দিনেই হোক। সেকারণেই শুধুমাত্র প্রথা মেনে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বিয়েতে মেয়ের বাড়িতে প্রায় আড়াইশো আমন্ত্রিত ছিল। কিন্তু প্রশাসন সক্রিয় হতেই আমন্ত্রিতদের না আসার জন্য বলা হয়। যারা অবশ্য আগে থেকে এসে গিয়েছিলেন তাঁরা এই কঠিন পরিস্থিতিতেও এক রোমান্টিক আবহের সাক্ষী থেকেছেন।