পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় মোট ৪৬হাজার ব্যক্তি এই মুহূর্তে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। তারমধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের অধীনে ২০হাজার, নন্দীগ্রাম স্বাস্থ্য জেলার অধীনে ৬০০০ এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় আরও ২০হাজার ব্যক্তি আছেন। মূলত এইসব ব্যক্তি অন্য রাজ্য থেকে সম্প্রতি বাড়ি ফিরেছেন। এছাড়াও বিদেশ থেকে আসা চারশোর বেশি ব্যক্তি হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক রশ্মি কমল সমস্ত বিডিওর সঙ্গে বৈঠক করে করোনা পরিস্থিতির সামগ্রিক চিত্র সম্পর্কে অবহিত হন। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য সরবরাহে যাতে কোনওরকম সমস্যা না হয় সেনিয়ে সতর্ক করা হয় সংশ্লিষ্ট সবপক্ষকে। এদিন মেদিনীপুর পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে স্প্রে করে স্যানিটাইজেশনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। মেদিনীপুরের আবাসে একটি রক্তদান শিবির করা হয়েছে। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মোট ১০জনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তারমধ্যে দু’জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য এদিন পাঠানো হয়েছে বলে সিএমওএইচ গিরিশচন্দ্র বেরা জানিয়েছেন।
বুধবার রাতেই নয়াবাদের এক প্রৌঢ়ের করোনা পজিটিভ রেজাল্ট আসে। তারপর খোঁজ খবর নিয়ে দেখা যায়, ওই প্রৌঢ় গত ১২মার্চ এগরার দীঘামোড়ে শ্যালিকার ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। ১৩মার্চ বিয়ে ছিল। ১৫তারিখ বউভাত অনুষ্ঠান ছিল। সেই বউভাত অনুষ্ঠানে সিঙ্গাপুর এবং ইউএসএ ফেরত বেশ কয়েকজন গেস্ট এসেছিলেন। ১৬তারিখ রাতে দীঘায় যান। ১৮তারিখ দীঘা থেকে ফিরে আসেন। ১৯ ও ২০ তারিখ জ্বর ও কাশি হওয়ায় স্থানীয় দু’জন চিকিৎসককে দেখানো হয়। একটি ল্যাবে রক্তের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তারপর ২২তারিখ এগরা থেকেই তাঁকে কলকাতায় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
পূর্ব মেদিনীপুরের সিএমওএইচ নিতাইচন্দ্র মণ্ডল এদিন সকালেই এগরা যান। এসডিও অপ্রতিম ঘোষ, এসডিপিও আক্তার আলি খান, পুরসভার চেয়ারম্যান শঙ্কর বেরা, শহর তৃণমূল সভাপতি জয়ন্ত সাহু প্রমুখ আক্রান্ত প্রৌঢ়ের শ্যালিকার বাড়িতে গিয়ে প্রথমে ন’জনকে এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করান। তারপর আরও তিনজনকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হয়। সেইসঙ্গে দীঘায় তিনি যে হোটেলে উঠেছিলেন, সেখানে যাঁরা আক্রান্ত প্রৌঢ়ের কাছাকাছি এসেছিলেন, তাঁদেরও পৃথকভাবে রাখা হয়েছে।
এদিকে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে আইসোলেশনে ভর্তি থাকা ১০৫বছর বয়সি এক বৃদ্ধার নমুনা পরীক্ষার জন্য এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এগরার ১২জনের করোনা পরীক্ষার জন্য শুক্রবারের মধ্যে নমুনা পাঠানো হবে বলে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন। গোটা এগরাজুড়ে এই মুহূর্তে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। কারণ, ওই বিয়ের ভোজে হাজারের বেশি মানুষ আমন্ত্রিত ছিলেন।
মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, ওই প্রৌঢ় ১২মার্চ এগরায় এসেছেন। ১৮-১৯তারিখ নাগাদ অসুস্থ হয়ে পড়েন। অর্থাৎ এগরায় আসার এক থেকে দেড় সপ্তাহ আগে তিনি সংক্রামিত হয়েছেন। নয়াবাদে থাকাকালীন করোনা সংক্রামিত হয়েছেন। নন্দীগ্রামের সিএমওএইচ সুব্রত রায় বলেন, দীঘায় ওই প্রৌঢ় যে হোটেলে উঠেছিলেন সেখানকার কর্মীদের চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।