কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
মুর্শিদাবাদ জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য বৃহস্পতিবার জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মীনা আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, জেলায় আরও দু’টি বন্ধ থাকা হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র করা হবে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, আইসোলোশনে কেউ ভর্তি নেই। জেলায় কারও মধ্যে করোনার ভাইরাস পাওয়া যায়নি। অযথা গুজব না ছড়ানোর জন্য সবার কাছে অনুরোধ করব। লন্ডন মিশন হাসপাতাল এবং তারাপুর লেবার ওয়েলফেয়ার হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, জেলার বহু শ্রমিক কেরল, চেন্নাই, ছত্তিশগড়ের মতো বিভিন্ন রাজ্যে আটকে রয়েছেন। তাঁরাও ঘরে ফিরলে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে।
নদীয়া জেলায় নতুন করে আটজনের নমুনা সংগ্রহ করা হল। ইতিমধ্যেই সকলের নমুনা কলকাতায় পাঠানো হয়েছে। প্রত্যেকেই তেহট্টের বাসিন্দা। জেলায় মোট করোনা সন্দেহে এখনও পর্যন্ত ভর্তি করা হয়েছে ২৭জনকে। এদের মধ্যে ১২জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলেই স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। ১৫জন জেলার বিভিন্ন হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি। তেহট্ট মহকুমার ১৩জনকে তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যেই আটজনের নমুনা পাঠানো হয়েছে। এদিন জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসিতকুমার দেওয়ান এবং জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক বিশ্বজিৎ ঢ্যাং বলেন, এদের মধ্যে কিছু উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। তাই আমরা নমুনা টেস্টের জন্য পাঠাচ্ছি। এখনও জেলায় কোনও পজিটিভ কেস নেই। তবে আমরা আইসোলেশন সেন্টার বাড়িয়েছি। আগে আমাদের আইসোলেশন বেড ছিল ৪৭, এখন সেটা হয়েছে ৬৪। কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে সব মিলিয়ে ৪০৬টি বেড করা হয়েছে। হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১৫ হাজার ৭১৭জন। বিদেশ বা ভিনরাজ্য থেকে আসা সবাইকে চিহ্নিত করে হোম কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হয়েছে। সবাইকে নজরদারির মাধ্যমে রাখা হয়েছে। আশা, অঙ্গনওয়াড়ি, ক্যুইক রেসপন্স টিম এবং টেলিফোনিক সার্ভাইলেন্সে এদের রাখা হয়েছে। তাঁরা বলেন, অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দোকানপত্রগুলি খোলা থাকছে। এটা নিয়ে কোনওরকম যেন বিভ্রান্ত না ছড়ায়। নদীয়া জেলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পক্ষে তারক দাস বলেন, যথেষ্ট খাদ্যদ্রব্য মজুত আছে। আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। অন্যদিকে, এদিন হুগলির খানাকুলের হিরাপুরে লকডাউনের নির্দেশ অমান্য করায় ও পুলিসের কাজে বাধা দেওয়ায় ছ’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। অন্যদিকে, পুরুলিয়া জেলায় হোম কোয়ারেন্টাইনে ৭৬০৪জন, হাসপাতালের কোয়ারেন্টাইনে আটজন এবং চারজন আইসোলেশনে রয়েছেন।
করোনা আক্রান্ত সন্দেহে ভিনরাজ্য থেকে ফেরা তিন যুবক বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন। তিনজনেরই নমুনা পরীক্ষার জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে। অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম প্রধান বলেন, তিনজনের অবস্থাই স্থিতিশীল। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শ্যামল সোরেন বলেন, সব মিলিয়ে প্রায় ৯০০০ মানুষকে হোম কোয়ারেনন্টাইনে রাখা হয়েছে। তাঁরা যাতে বাড়ির বাইরে বের না হন দপ্তরের কর্মীরা সেদিকে নজর রাখছেন।
অন্যদিকে, বীরভূম জেলায় এখনও পর্যন্ত ৬৫২২জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। এছাড়া নন হোম কোয়ারেন্টাটাইনে আছেন ৮১জন। জেলায় কেউ করোনা আক্রান্ত হয়নি বলে জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা জানিয়েছেন। অযথা আতঙ্কিত না হওয়ারও বার্তা দিয়েছেন তিনি। ভিনরাজ্য থেকে আসা ব্যক্তিদের নজর রাখছে স্বাস্থ্য দপ্তর। জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের রাস্তাঘাটে বেরনোর জন্য বিশেষ পাশ ইস্যু করছে জেলা প্রশাসন। এক্ষেত্রে জেলার প্রবীণ বাসিন্দারাও ওই পাশ পাওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে জানাতে পারেন।