পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
এমনিতেই করোনা আতঙ্কের জেরে জেলার সর্বত্র স্যানিটাইজার কেনার জন্য সাধারণ মানুষ দোকানে দোকানে হামলে পড়েন। সুযোগ বুঝে অনেক ব্যবসায়ী স্যানিটাইজার নিয়ে কালোবাজারি শুরু করেন। কালোবাজারি রুখতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, চাহিদার থেকে জোগান কম থাকায় জেলাজুড়ে স্যানিটাইজারের আকাল তৈরি হয়। এছাড়া এই সুযোগে কিছু ব্যবসায়ী কালোবাজারি করার চেষ্টা করেন। ফলে, কালোবাজারি বন্ধ আর চাহিদা পূরণ করার জন্য স্যানিটাইজার তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের মাধ্যমে এই স্যানিটাইজার তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্যানিটাইজার তৈরি নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রতিটি ব্লকে দু’-তিনজন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য স্যানিটাইজার তৈরির কাজ করছেন। প্রতিটি ব্লকে চাহিদা অনুযায়ী, গোষ্ঠীর সদস্যরা স্যানিটাইজার তৈরি করা শুরু করেছেন। ইতিমধ্যেই গোষ্ঠীর সদস্যদের তৈরি ১৩২০ লিটার স্যানিটাইজার ব্লকে ব্লকে পৌঁছানোর কাজ চলছে। তবে, স্যানিটাইজার তৈরির জন্য যে উপকরণ প্রয়োজন হয়, তার জোগানে কিছুটা সমস্যা রয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী, ২০০ এমএল স্যানিটাইজারের দাম ১০০ টাকা ধার্য করা হয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর তৈরি স্যানিটাইজার ৫০, ১০০ এবং ২০০ এমএল রয়েছে। তিনদিন আগেই জেলার সব ব্লকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্যানিটাইজার পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ঠিক হয়, আশাকর্মীরা বাড়ি বাড়ি পরিদর্শন করার সময় স্যানিটাইজারের বোতল সঙ্গে নিয়ে যাবেন। সাধারণ মানুষের চাহিদা অনুযায়ী, তাঁরা স্যানিটাইজার তাদের দেবেন। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরাও তাঁদের তৈরি স্যানিটাইজার নিয়ে পাড়ার মোড়ে, ক্লাবের সদস্যদের তা পৌঁছে দেবেন।