বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
বর্ধমান শহরের বিভিন্ন জায়গায় পুলিস এদিন অভিযান চালিয়েছে। কার্জন গেট চত্বরে কয়েকজনকে লাঠিপেটা করেছে পুলিস। মার খেয়ে রাস্তায় বের হওয়া লোকজনের দে-দৌড় অবস্থা। জরুরি প্রয়োজনে যাঁরা বেরিয়েছিলেন, তাঁরা অবশ্য দাওয়াই থেকে রেহাই পেয়েছেন। পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিসের পক্ষ থেকে লকডাউন সফল করার জন্য মাইকিং করে এদিন প্রচার চালানো হয়েছে। আইন ভেঙে অপ্রয়োজনে রাস্তায় বের হওয়ায় বর্ধমান শহরে প্রায় ২১জনকে আটক করা হয়েছে। গোটা জেলায় প্রায় ৫০জনকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে নির্দেশ না মানায় এদিন নদীয়ার নবদ্বীপে ছ’জন ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। এদিন লকডাউন উপেক্ষা করে রানাঘাট শহরে সকালের দিকে সুভাষ অ্যাভিনিউ, জিআরপি গেট সংলগ্ন জিএনপিসি রোড সহ বেশ কিছু এলাকায় মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। বেলা গড়াতে পুলিস অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন এলাকার দোকানপাট বন্ধ করে দেয়। একই ছবি দেখা যায় রানাঘাট ও শান্তিপুর শহরেও।
অপরদিকে, মুর্শিদাবাদ লকডাউন উপেক্ষা করে মঙ্গলবার কান্দি মহকুমা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় বাইরে বেরিয়ে পড়েন অনেকে। বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় বিভিন্ন বাজার, চায়ের দোকানে জটলা দেখা যায়। পুলিস-প্রশাসনও কড়া পদক্ষেপ নেয়। এমনকী, কিছু জায়গায় পুলিস লাঠিচার্জ করে। লকডাউনের নির্দেশিকা অমান্য করায় কান্দিতে ১২জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে, লকডাউনকে উপেক্ষা করেই মঙ্গলবার সকাল থেকে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম ও আরামবাগের বিভিন্ন জায়গায় দোকান খুলে বসেন ব্যবসায়ীরা। বিষয়টি নজরে আসার পরেই তিন জায়গায় পুলিস অভিযানে নামে। কেবলমাত্র নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস, সব্জি, ফল ও ওষুধের দোকান ছাড়া সমস্ত কিছু তারা বন্ধ করে দেয়। এছাড়া যে সমস্ত মানুষ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাস্তায় বের হন মোড়ে মোড়ে আটকে তাঁদের বাড়ি ফেরান। আরামবাগে কয়েকজনকে আটক করা হয়। এদিন বিষ্ণুপুরের চকবাজারে মহকুমা শাসক মানস মণ্ডল পরিদর্শন করেন। সেখানে যাতে মানুষ অযথা ভিড় না করেন তার আবেদন জানান। বাজারের ব্যবসায়ীদেরও তিনি একদিন অন্তর পালা করে বসার নির্দেশ দেন। আরামবাগে সরকারি নির্দেশিকা অমান্য করায় মোট সাতজনকে পুলিস আটক করে।