খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
হাওড়ার ধুলাগড় মার্কেট থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বেশিরভাগ কাঁচা সব্জি আসে। কিন্তু, সেই মার্কেটে সব্জি না পেয়ে এদিন তিন-চারটি গাড়ি ফিরে এসেছে। পাঁশকুড়া পাইকারি মার্কেট থেকে সংগ্রহ করা আনাজপাতি এদিন তমলুক, কাঁকটিয়া, হলদিয়া সহ জেলার বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হয়েছে। কিন্তু, গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকার কারণে সব্জি বাজারে কম আসছে বলে ব্যবসায়ীদের দাবি। আর এতেই হু হু করে দাম বাড়ছে। এদিন এই জেলায় বিভিন্ন বাজারে আলু কেজি প্রতি ২২-২৫টাকা, পেঁয়াজ ৩০-৪০টাকা, পটল ১২০টাকা, ঝিঙে ৬০টাকা, বাঁধাকপি ২০-২৫টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস ৩০টাকা, কুমড়োর কেজি ৩০টাকা, কাঁচালঙ্কা ১০০টাকা, সজনে ডাটা ১২০টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আগামী দু’-তিনদিন আনাজপাতির সরবরাহ কমে গেলে সেক্ষেত্রে দাম নাগালের বাইরে চলে যাবে, আশঙ্কা অন্তত তেমনটাই। মাছের দামও এদিন অনেকটাই বেশি ছিল।
লকডাউনের আগে এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরেও সকালে সব্জি বাজারগুলিতে ভিড় উপচে পড়ে। অন্যান্য দিনের চেয়ে এদিন অনেক আগেই বাজারে সব্জি শেষ হয়ে যায়। অনেকেই দেরি করে আসায় চাহিদা মতো সব্জি পাননি। বাজার খোলা থাকলেও মঙ্গলবার সব্জি পাওয়া যাবে না, এই আশঙ্কায় এদিন সকাল হতে না হতেই গৃহকর্তরা থলি হাতে বাজারে চলে যান। তবে আলু, পেঁয়াজ, আদা, রশুন, মাছ, ডিম কেনার দিকেই বেশি ঝোঁক ছিল। মেদিনীপুর শহরের সিপাইবাজার, রাজাবাজার, কোতোয়ালিবাজার, স্কুলবাজার, গেটবাজার, খড়্গপুর শহরের খরিদাবাজার, গোলবাজার, গেটবাজার সর্বত্রই ছিল একই চিত্র। এদিন আলু ২০-২২ টাকা কেজি, পেঁয়াজ ২৫-২৭টাকা কেজি, ডিম প্রতিটি ৫টাকা দরে বিক্রি হয়। বাসিন্দারা বলেন, মাছ ও সব্জির দাম আগের মতোই ছিল। কোথাও দাম বেশি নেওয়া হয়নি।
এদিকে এদিন বিকেল থেকে মেদিনীপুর ও খড়্গপুর শহরে পুলিস নজরদারি শুরু করে দেয়। কোথাও যাতে ভিড় না হয়, অযথা কেউ বাড়ির বাইরে না বের হয়, তা দেখতে বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে পুলিসকে রাস্তায় ঘুরতে দেখা যায়। খড়্গপুর শহরে আবার রেল তাদের এলাকায় যাতে কেউ ঢুকতে না পারে, তার জন্য আরপিএফ মোতায়েন করে। বিভিন্ন প্রবেশপথে আরপিএফ কর্মীদের নজরদারিতে রাখা হয়। ফিতে দিয়ে ঘিরে চিহ্নিত করে দেওয়া হয় রেল এলাকাকে।
এদিন সকাল থেকেই ঝাড়গ্রাম শহরের ছবিটাও ছিল একই। অন্যান্য দিনের চেয়ে বাজারে ভিড় বেশি ছিল। এদিন সকাল থেকেই শহরের জুবলি মার্কেট ও সব্জি মার্কেটে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। সব্জির দামও ছিল বেশি। এদিন আলুর দাম বেড়ে কেজিপ্রতি ২০ টাকা হয়ে গিয়েছে। মাছের দামও ছিল বেশি। জেলাশাসক আয়েষা রানি এ বলেন, শুধুমাত্র কাঁচা শাকসব্জি, ভূষিমাল সামগ্রী, মাছ-মাংস, পাউরুটি, দুধ সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকান খোলা থাকবে। বাকি সমস্ত দোকান বন্ধ থাকবে। নিয়ম না মানলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।