খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
এদিন রামপুরহাটে ভিড়ের বাজারকে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী আলু ৩০ টাকা ও পেঁয়াজ ৪০টাকা কেজি দরে বিক্রি করছিল। সেই খবর পাওয়ার পরই এদিন বিকেল ৩টে নাগাদ রামপুরহাট শহরের চারটি বড় বাজারে হানা দেন কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রামপুরহাটের এসডিও, এসডিপিও। মন্ত্রী আড়তদার ও খুচরো ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে বলেন, কালোবাজারি বা দাম বাড়ানো হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে প্রশাসনিক আধিকারিকরা আলুর ১৮ টাকা, পেঁয়াজের ১৫ টাকা কেজি প্রতি দাম বেঁধে দেন।
অন্যদিকে, এদিন সিউড়ি, দুবরাজপুর, সাঁইথিয়া শহরেও হানা দেয় প্রশাসন। তবে এদিন বাজারে প্রশাসনের তরফে হানা দেওয়া হলেও বিভিন্ন পণ্য সামগ্রীর দাম চড়া ছিল। খুচরো বিক্রেতাদের অনেকেই বলছেন, লকডাউন ঘোষণার জেরে রবিবার সন্ধ্যা থেকেই দোকানে ভিড় উপচে পড়ে। তার ফলে দোকানে সামগ্রীর পরিমাণ কমে যাচ্ছে। চাহিদার সঙ্গে তালমিল থাকছে না।
জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বলেন, বিকেল ৫ টা থেকে লকডাউন হয়ে গিয়েছে। নির্দেশ মানা হচ্ছে কি না, তা দেখতে পরিদর্শন করা হয়। বাজার নিয়ন্ত্রণ করার জন্যও বলা হয়েছে।
অন্যদিকে, লকডাউন ঘোষণার জেরে এদিন বাঁকুড়া, পুরলিয়া ও আরামবাগের বিভিন্ন জায়গায় সকাল থেকেই মুদিখানার দোকান, সব্জি বাজারে ব্যাপক ভিড় দেখা যায়। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বহু ব্যবসায়ী সব্জি, আলু থেকে শুরু করে মুদিখানার বিভিন্ন জিনিসের দাম এক ধাক্কায় অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়।
এদিন সকালে বাঁকুড়ার বিভিন্ন বাজারে আলুর দাম ২০ থেকে ২৫ টাকা হয়ে যায়। একইভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় তেল, ডালের দামও কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা বাড়তি দামে বিক্রি হয়। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসার পরেই বাঁকুড়ায় জেলা পুলিসের একটি দল শহরের বিভিন্ন বাজার ও নতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে হানা দেয়। পুলিস তৎপর হওয়ার পর বেশ কিছু জিনিসের দাম খোলাবাজারে কিছুটা কমে। বাঁকুড়ার মতো পুরুলিয়াতেও লকডাউনের জন্য এদিন সকাল থেকে বাজারে মানুষ ভিড় করেন। বাজার খুলতেই আলু, পেঁয়াজ সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বেশি পরিমাণে কিনে রাখেন বাসিন্দারা। তবে আচমকা অতিরিক্ত চাহিদার জন্য সমস্ত জিনিসেরই দাম বেশ কিছুটা বেড়ে যায়।
আরামবাগেও এদিন সকাল থেকে কেউ পাঁচদিন, কেউ আবার এক মাসের মুদিখানা বাজার ও শুকনো খাবার কেনার জন্য বাজারে ভিড় জমান। প্রশাসনের তরফ থেকে এদিন শহরের বিভিন্ন এলাকায় কালোবাজারি হচ্ছে কি না, তা নিয়ে বাড়তি নজরদারি চালানো হয়। আরামবাগের এসডিপিও নির্মল কুমার দাস বলেন, সরকারি নির্দেশ মতো শহর লকডাউন হবে ঠিকই। কিন্তু, জরুরি পরিষেবা চালু থাকবে। তাই আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই।