খরচের চাপ এত বেশি থাকবে সে সঞ্চয় তেমন একটা হবে না। কর্মক্ষেত্রে নানান সমস্যা দেখা ... বিশদ
জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবাশিস হালদার বলেন, অতিরিক্ত মুখ্য সচিবের নির্দেশে জেলার প্রতিটি ব্লক ও পুরসভা এলাকায় বিশেষ কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে। সেখান থেকে এলাকার পরিস্থিতির উপর নজর রাখার পাশাপাশি হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা বাসিন্দাদের প্রতি বাড়তি নজর দেওয়া হবে।
রাজ্যের প্রতিটি জেলার করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় কী প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে, তা দেখার জন্য রাজ্য সরকার প্রতি জেলায় এক শীর্ষ প্রশাসনিক আমলাকে পাঠাচ্ছে। শনিবার সেই কাজেই জেলায় এসেছিলেন রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব সুনীল গুপ্তা। তিনি পরামর্শ দেন, এই ধরনের কন্ট্রোল রুম খোলার। এরপরেও জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর এই ব্যবস্থা গড়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে। তাদের দাবি, এতে আরও ভালোভাবে এলাকার উপর নজর রাখা যাবে। এতে জেলার কর্তারাও দ্রুত সঠিক তথ্য পাবেন। তবে পরিস্থিতি খারাপ দিকে মোড় নিলে যাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সেই দিকটি বিবেচনা করে কোনও ব্লকে কর্মতীর্থ, কোথাও আবার স্কুলকে প্রস্তুত করার ভাবনা রয়েছে আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে।
অন্যদিকে, প্রতি ব্লকেই দু’ধরনের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এক জায়গায় থাকছে যাঁরা বিদেশ থেকে এসেছেন। অন্যটিতে রাখা হচ্ছে যাঁরা ভিন রাজ্য থেকে এসেছে, তাঁদের তথ্য। এদিকে হাওড়া থেকে একটি সরকারি বাসে করে ভিন রাজ্য থেকে আসা ২৭জনকে জামগ্রামে সরকারের প্রস্তুত করা কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়।
অপরদিকে, যখন প্রশাসনের চূড়ান্ত তৎপরতা সামনে এসেছে, তখন গাফিলতির ছবিও ধরা পড়েছে। হাসাপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, আসানসোল জেলা হাসপাতালে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দু’জনকে করোনা সন্দেহে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। শুক্রবার তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এবার যে ক্যুরিয়ার সংস্থার এই নমুনা পরীক্ষাগারে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব ছিল, তারা শুক্রবার আসেনি। শনিবার লোকান ট্রেনে করে এসে কোনওমতে বহু দেরিতে নমুনা সংগ্রহ করেছে।
অন্যদিকে অণ্ডাল বিমান বন্দর থেকে প্রতিদিন মুম্বই, চেন্নাই, দিল্লি, হায়দরাবাদ থেকে বহু যাত্রী বাংলায় ঢুকছেন। অথচ নেই কোনও চেকিং। আশঙ্কা বাড়িয়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, অনেকে ন্যূন্যতম তথ্যটুকু দিচ্ছে না।