পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি মানস দাস বলেন, যেসব স্কুল কর্তৃপক্ষ আলু ও চালের ব্যবস্থা করতে পেরেছিল, তারা রবিবার চাল ও আলু বিলি করেছে।
পটাশপুরের মঙ্গলামাড়ো বাজার থেকে নন্দীগ্রাম, পাঁশকুড়া বাজার থেকে তমলুক জেলা সদর শহর, সর্বত্র এদিন জনশূন্য ছিল। জেলায় কোনও বেসরকারি বাস চলেনি। বাস মালিক সংগঠনের জেলা সাধারণ সম্পাদক সুকুমার বেরা বলেন, রাস্তায় কোনও যাত্রী নেই। বাসকর্মীরাও করোনা নিয়ে আতঙ্কিত। তাই এদিন বাস নামানো হয়নি।
জনতা কার্ফুতে পর্যটনক্ষেত্র দীঘা ছিল একেবারে শুনশান। একই ছবি তাজপুর, মান্দারমণি এলাকাতেও। এদিন মেচেদা স্টেশন এবং মেচেদা পথসাথীতে দু’জায়গায় থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ভিনরাজ্য থেকে আসা একটি এক্সপ্রেসের যাত্রীদের থার্মাল স্ক্রিনিং করার জন্য রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ স্ক্যানার বসানো হয়। সাঁতরাগাছি থেকে জেলার যাত্রীদের এসবিএসটিসি বাসে চাপিয়ে মেচেদায় এনে থার্মাল স্ক্রিনিং করানো হয়। এছাড়াও মেচেদা স্টেশনে নামা যাত্রীদের স্ক্যানারের সামনে দাঁড় করানো হয়।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেও ‘জনতার কার্ফু’তে ব্যাপক সাড়া মেলে। এদিন সকাল থেকেই মেদিনীপুর শহরের গেট বাজার, মিঁয়া বাজার, রাজা বাজার, স্কুল বাজার সহ সর্বত্র দোকানপাট বন্ধ ছিল। রাস্তাঘাট ছিল ফাঁকা। বাসস্ট্যান্ডে লাইন দিয়ে বেসরকারি বাস দাঁড়িয়ে রয়েছে। বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সম্পাদক মৃগাঙ্ক মাইতি বলেন, এদিন জেলার বিভিন্ন স্ট্যান্ড থেকে কোনও বেসরকারি বাস চলেনি। হাতে গোনা কয়েকটি সরকারি বাস চলেছে। তাতে যাত্রী ছিল না বললেই চলে। অন্যদিকে, শহরের কয়েকটি জায়গায় মাংসের দোকান খোলা ছিল। সেখানে মাংস কিনতে অনেকে ভিড় করেছেন। মেদিনীপুরের কঙ্কাবতী পঞ্চায়েত এলাকায় এদিন ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ হয়েছে। অন্যদিকে, খড়্গপুর শহরের মালঞ্চ, ইন্দা, খরিদা, গোলবাজার এলাকায় সমস্ত দোকানপাট বন্ধ ছিল। এমনকী, ডান-বাম সব রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ও এদিন বন্ধ থাকতে দেখা যায়। খড়্গপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে কোনও বাস চলাচল করেনি। স্ট্যান্ডের মধ্যে কয়েকজনকে ফুটবল খেলতে দেখা গিয়েছে। খড়্গপুর স্টেশনে ভিনরাজ্য থেকে বহু যাত্রী আসার পর বাস না পেয়ে স্টেশনের বাইরে বোগদা এলাকায় ভিড় করে দাঁড়িয়ে ছিলেন। কেশপুর, ঘাটাল, গড়বেতা, চন্দ্রকোণা রোড এলাকায় এদিন অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ ছিল। বাস চলাচলও করেনি।
জনতার কার্ফুতে ভালো সাড়া মিলেছে ঝাড়গ্রাম জেলাতেও। সকাল থেকেই জেলাজুড়ে রাস্তাঘাটে লোকজনের দেখা মেলেনি। সব দোকান বন্ধ ছিল। ঝাড়গ্রামের সব্জি মার্কেট ছিল ফাঁকা। জুবলি মার্কেট, কোর্ট রোড, বাস স্ট্যান্ড, রেল স্টেশন-সহ গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে মানুষের দেখা পাওয়া যায়নি। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে মুদির দোকান, সব কিছুই বন্ধ ছিল। কেবল শহরে কয়েকটি ওষুধের দোকান খোলা ছিল। শুধু ঝাড়গ্রাম শহর নয়, বেলপাহাড়ি, শিলদা, বিনপুর, লালগড়, জামবনী, গোপীবল্লভপুর, নয়াগ্রাম, সাঁকরাইল সহ সমস্ত ব্লকেই ছিল একই রকম ছবি। বিকেল ৫টার পর জেলা শহরের পুরাতন ঝাড়গ্রাম সহ বিভিন্ন এলাকা ও গ্রামেগঞ্জে মানুষজন থালা ও শঙ্খ বাজিয়েছেন।
ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আয়েষা রানি এ বলেন, সোমবার বিকেল থেকে লকডাউন শুরু হচ্ছে। মানুষের চিন্তিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। নিত্যপ্রয়োজনীয় সমস্ত জিনিসপত্রের দোকান খোলা থাকবে। সোমবার মানুষের হুড়োহুড়ি করার দরকার নেই। কারও কোন সমস্যা থাকলে জেলাশাসকের অফিসে এসে জানাতে পারেন। এছাড়াও জেলায় কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়ছে। জেলার কন্ট্রোল রুমের ফোন নম্বর ০৩২২১-২৫৮২২৮।