পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উত্তর কাঁথির বিধায়ক বনশ্রী মাইতি, কাঁথি হিন্দুবালিকা বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষিকা তথা জেলা পরিষদ সদস্যা ছবি দাস মহাপাত্র, জেলা পরিষদের স্থানীয় সদস্য নন্দদুলাল মাইতি, কাঁথি-৩ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি বিকাশ বেজ সহ বিশিষ্টরা। দীর্ঘদিনের দাবি মেনে বড়সড় সাংস্কৃতিক মঞ্চ তৈরি হওয়ায় স্কুলে খুশির হাওয়া ছড়িয়ে পড়েছে।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৮৮ সাল থেকে দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে স্কুলে শিক্ষকতা করছেন পটাশপুরের বাল্যগোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা রীনাদেবী। তিনি অবিবাহিতা। আগামী ২০২৩ সালে শিক্ষকতা থেকে অবসরগ্রহণ করবেন। বেশ কয়েক বছর আগে পটাশপুরের একটি স্কুলে প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দেওয়ার জন্য তিনি আবেদন করেছিলেন এবং সুযোগও পেয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্রছাত্রী অন্তঃপ্রাণ শিক্ষিকা রীনাদেবীকে কোনওভাবেই অন্য কোনও স্কুলে যেতে দেয়নি পড়ুয়ারা। এজন্য রীতিমতো ধর্নায় বসেছিল তারা। তারপর থেকে এই স্কুলেই রয়ে গিয়েছেন রীনাদেবী। ২০১৮ সালে প্রধান শিক্ষক দীনেশ দাস অবসর নেওয়ার পর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে দায়িত্ব নেন রীনাদেবী। তারপর থেকে তিনি স্কুলকে নানা দিক দিয়ে সাজানোর ব্যাপারে বিশেষভাবে উদ্যোগী হন। স্কুলে খেলার মাঠ থেকে শুরু করে অন্যান্য পরিকাঠামো থাকলেও একটা সাংস্কৃতিক মঞ্চের অভাব ছিল। সেই সাংস্কৃতিক মঞ্চ হওয়ায় খুশি ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর স্কুলে একটি সাংস্কৃতিক মঞ্চের অভাব রয়েছে বলে বুঝতে পারি। সিদ্ধান্ত নিই, আমার প্রয়াত বাবা-মায়ের স্মৃতিতে সাংস্কৃতিক মঞ্চ গড়ার জন্য আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেব। সাংস্কৃতিক মঞ্চটি সকলের কাজে লেগেছে দেখে খুবই ভালো লাগছে। যতদিন স্কুলে থাকব, স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে এবং পঠনপাঠনের উন্নতির স্বার্থে সহযোগিতা করে যাব। ছাত্রছাত্রীদের পাশে থাকব। পরিকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে উদ্যোগ নেব।
স্কুলের সহ-শিক্ষক অখিলেশ শূর বলেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার এই দান নিঃসন্দেহে মহৎ। যা স্কুলকে আরও গৌরবান্বিত করল। স্কুলের সামগ্রিক পরিবেশ আরও সমৃদ্ধ হল। সাংস্কৃতিক মঞ্চটির অন্দরের সাজসজ্জা বাকি রয়েছে। ধীরে ধীরে তা সম্পূর্ণ করা হবে।