দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
কিন্তু এদিনের বৈঠকের পর চাপড়া বাজারের কাছে তৃণমূল পার্টি অফিসের উদ্বোধনে বিধায়ক রুকবানুর রহমান এবং ব্লক তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি রাজীব শেখের অনুপস্থিতি ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে। বার বার নানাভাবে চেষ্টা করেও ব্লক সভাপতি জেবের শেখ এবং বিধায়ক গোষ্ঠীকে এক মেরুতে আনতে পারেননি মহুয়াদেবী। কয়েক সপ্তাহ আগেই এই পার্টি অফিসের উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল। সেদিন তাঁকে ঠিকমতো আহ্বান জানানো হয়নি বলে বিধায়ক পন্থী রাজীব উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন। ব্লক সভাপতিকে আরও আন্তরিকভাবে আমন্ত্রণ জানানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন মহুয়াদেবী। রাজীবকেও বলেছিলেন, পরের বার উদ্বোধনের সময় তিনি যেন অবশ্যই থাকেন। এটা কারও একার সম্পত্তি নয়। কিন্তু এদিন তাঁদের অনুপস্থিতি নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এনিয়ে মহুয়াদেবী কোনও মন্তব্য করতে না চাইলেও বিষয়টি নিয়ে তিনি ঘনিষ্ঠ মহলে অত্যন্ত বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। তবে মহুয়া ঘনিষ্ঠ এক নেতার কথায়, আগের দিন উদ্বোধন না করে গোষ্ঠী কোন্দলের বিষয়টি মেটানোর সুযোগ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এদিন কারও অনুপস্থিত থাকার বিষয় নিয়ে তিনি আর এতটুকু ভাবতে রাজি নন। উদ্বোধনের দিনক্ষণ আগেই চূড়ান্ত ছিল। সিংহভাগ নেতৃত্বকে পাশে নিয়ে এদিন ব্লক অফিসের উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে।
এব্যাপারে মহুয়াদেবীর সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া, খুব ভালোভাবেই পার্টি অফিসের উদ্বোধন হয়েছে। একটা দলের পার্টি অফিসটা খুব গুরুত্বপূর্ণ, সেটা হয়েছে। চাপড়ায় আমাদের সব কর্মীরা অত্যন্ত ভালোভাবে কাজ করছে। সেটা তাঁরা করে যাবে, এটাই আশা করব।
দলীয় সূত্রে খবর, ব্লকে এক একবার এক একটি অঞ্চলে মাসে এক বা দু’বার বুথ সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মহুয়াদেবী। একদিকে বুথের কাজকর্ম নিজে হাতে খতিয়ে দেখছেন। অন্যদিকে, সক্রিয়, নিষ্ক্রিয় বুথ কর্মীদের ব্যাপারে জানার সঙ্গে বিধানসভা ভোটের আগে অঞ্চলগুলিও নিজে চিনে নিতে চাইছেন। তবে চাপড়ার গোষ্ঠী সমস্যা বেশ কিছুটা বেগ দিচ্ছে তাঁকে। এদিনও তিনি বার বার, একসঙ্গে চলার বার্তা দিয়েছেন সকলকে। কোথায় কার কী সমস্যা আছে তা তিনি জানতে চেয়েছেন। লোকসভা ভোটের ফলাফল নয়, আগামীর দিকেই বেশি করে নজর দিতে বলেছেন। তবে সিএএ, এআরসি ইস্যু নিয়ে আন্দোলন যাতে বন্ধ না হয় বার বার বলেছেন। এদিনের বিষয় নিয়ে বিধায়ক রুকবানুর রহমানকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, আমাকে তো বলাই হয়নি। কেন যাব আমি। আর এতদিন তো কোনও পার্টি অফিসের দরকার পড়েনি! রাজীব বলেন, বিধায়ক যাননি। তাই আমিও যাইনি। চাপড়া ব্লকের তৃণমূল ব্লক সভাপতি জেবের শেখকে যদিও ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। অন্যদিকে চাপড়ার পর এদিন মহুয়াদেবী কৃষ্ণনগর উত্তর বিধানসভার পাঁচটি অঞ্চলকে নিয়ে বৈঠক করেন।