কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
বুধবার শান্তিনিকেতনের সুরশ্রীপল্লির নবম শ্রেণীর দুই নাবালক ছাত্র নিখোঁজ হয়ে যায়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই বন্ধু বুধবার সকালে ৯টার সময় সাইকেল নিয়ে ঘর থেকে খেলার জন্য বেরিয়ে আসে। তারপর দিনভর তারা বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা দু’জনের খোঁজ শুরু করেন। রাত পর্যন্ত তাদের খোঁজ না মেলায় শান্তিনিকেতন থানায় জানানো হয়। অন্যদিকে, পরিবারের সদস্যরা নাবালক দুই ছাত্রের বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়-পরিজনদের কাছে খোঁজ নিতে শুরু করেন। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত দু’জনেরই কোনও হদিশ না মেলায় শান্তিনিকেতন থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করা হয়। এদিন দুপুরে দুই ছাত্রের মধ্যে একজনকে ফিরে পাওয়া যায়। পাড়া-প্রতিবেশীরা সেই ছাত্রকে উদভ্রান্তভাবে শান্তিনিকেতনে ঘোরাঘুরি করতে দেখে বাড়ি নিয়ে আসেন। সেই ছাত্রের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, তাঁদের বাড়ির ছেলে ঘোরের মধ্যে রয়েছে। তার শরীর থেকে উৎকট গন্ধ বেরচ্ছে। শারীরিক অবস্থা ঠিক না থাকায় তাকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সে ঠিকমতো কথা বলতে পারছে না। ঘোরগ্রস্ত অবস্থায় সে অস্পষ্টভাবে জানায়, শান্তিনিকেতন লাগোয়া কোনও একটি গ্রামে তাকে নিয়ে চলে গিয়েছিল চারজন ব্যক্তি। তাকে সেখানে মারধর করা হয়। নিয়ে যাওয়ার আগে সেই ছাত্রকে পাউরুটি জাতীয় কিছু খেতে দেওয়া হয়েছিল। তবে, একজন ছাত্র ফিরে এলেও অপরজনের এখনও কোনও খোঁজ মেলেনি। প্রায় ৪৮ঘণ্টা অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও তাদের ছেলে ঘরে না ফেরায় আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে নাবালকের পরিবার।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার সন্ধ্যায় বিশ্বভারতীর উচ্চ মাধ্যমিকের এক পড়ুয়া নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। মঙ্গলবার ভোররাতে রামপুরহাট থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। সেই ছাত্র জানিয়েছিল, গুরুপল্লি এলাকা থেকে তিনজন ব্যক্তি তাকে মারধর করে অন্যত্র নিয়ে চলে গিয়েছিল। তারপর সে রামপুরহাটে কীভাবে এসে পৌঁছয় সেই বিষয়ে সেই ছাত্র স্পষ্টভাবে কিছুই বলতে পারেনি। মাত্র চারদিনের মধ্যে বোলপুর ও শান্তিনিকেতন এলাকায় তিনজন ছাত্র নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় শহরজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। সমগ্র ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনার পিছনে শিশু পাচার চক্র জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।