পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত রামপুরহাট থানার সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম তারিকুল ইসলাম। বাড়ি দাদপুরে। এই গ্রামেই অবস্থিত আয়াস গ্রাম পঞ্চায়েত। দিনকয়েক আগে তারিকুল অফিসে এসে কয়েকটি জন্ম সার্টিফিকেটে সংশোধন করার জন্য পঞ্চায়েত সহায়ক শান্তিরাম সাহার কাছে আবেদন জমা দেন। ওইদিন বেশ কয়েকটি সার্টিফিকেট সংশোধন করেও দেন তিনি। আরও কয়েকটির কাগজে ত্রুটি থাকায় পরে আসার জন্য বলেন। শান্তিরামবাবু বলেন, এদিন ওই সিভিক ভলান্টিয়ার ফোন করে সার্টিফিকেট নিতে আসছি বলে। আমি জানাই, ব্লক থেকে বার্ধক্য ও বিধবা ভাতার তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছে। আমি ওই কাজে ব্যস্ত থাকায় শুক্রবার আসার জন্য বলি। তা সত্ত্বেও ওই সিভিক ভলান্টিয়ার দুপুরের দিকে পঞ্চায়েতে এসে হম্বিতম্বি করতে থাকে। এদিন কোনওমতেই দেওয়া সম্ভব নয় বলতেই সে আমাকে সপাটে চড় মারে। আমাকে বাঁচাতে এসে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের হাতে অন্যান্য কর্মীদেরও হেনস্তা হতে হয়।
প্রধান বলেন, অত্যন্ত দুঃখজনক অবস্থা। আমাকেও কিল খেতে হয়েছে। ওই সহায়ক খুবই ভালো কর্মী। সিভিক ভলান্টিয়ারও ভালো ছেলে। কেন এমন ঘটনা ঘটল বুঝতে পারছি না।
এদিকে ঘটনার কথা জানাজানি হতেই এই ব্লকের ন’টি পঞ্চায়েতের ৯৪জন সরকারি কর্মী কাজ বন্ধ রেখে আক্রান্ত কর্মীকে সঙ্গে নিয়ে বিডিওর কাছে হাজির হন। তাঁরা ঘটনার প্রতিবাদ ও অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের শাস্তির দাবিতে বিডিওর কাছে গণস্বাক্ষরিত ডেপুটেশন দেন। কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া না হলে শুক্রবার থেকে লাগাতার কর্মবিরতিতে নামা হবে বলে জানিয়েছেন বড়শাল পঞ্চায়েতের সেক্রেটারি শান্তনু রায়। যদিও ওই সহায়কের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হলেও মারধর করা হয়নি বলে জানিয়েছেন অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার। তিনি বলেন, অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
বিডিও বলেন, কর্মরত সরকারি কর্মচারীকে মারধর করলে আইপিসি ৩০৭ ধারায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। দেখা যাক পুলিস কী ব্যবস্থা নিচ্ছে। এব্যাপারে রামপুরহাট এসডিপিও সৌম্যজিৎ বরুয়া বলেন, অভিযোগ খতিয়ে দেখে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।