কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
নির্বাচন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গতবছরের ভোটার তালিকা অনুযায়ী জেলায় মোট ভোটার ছিলেন ২৬ লক্ষ ৭১ হাজার ৪৪১জন। এবার তা বেড়ে হয়েছে ২৭ লক্ষ ৩৭ হাজার ১৬১জন। এক্ষেত্রে নতুন ভোটার হিসেবে নাম উঠেছে ৮৪ হাজার ৯৮২জনের। অন্যদিকে ১৯ হাজার ২৬০জনের নাম তালিকা থেকে বাদও হয়েছে।
জানা গিয়েছে, গত ১৬ ডিসেম্বর থেকে এসআরইআর-এর কাজ শুরু করে জেলা প্রশাসন। সেই প্রক্রিয়াতেই জেলার নতুন ভোটাররা তালিকায় নাম তুলতে আবেদন জানান। তার সঙ্গে সংশোধনের জন্যও আবেদন ছিল। এছাড়া স্থানান্তরকরণের আবেদনও ছিল।
নির্বাচন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় ২ লক্ষ ২২ হাজার ৩২০জন ভোটারের নাম তালিকায় সংশোধন করা হয়েছে। তাঁদের কারও নাম ভুল ছিল, কারও আবার বাবার নাম ভুল ছিল। ঠিকানা ভুলের ক্ষেত্রেও তাঁরা সংশোধনের জন্য আবেদন করেছিলেন। নতুন ভোটার তালিকা অনুযায়ী অবশ্য তাঁদের ভুল সংশোধন করা হয়েছে বলে দাবি। এছাড়া একই বিধানসভাতেই অন্য অংশে কার্ড স্থানান্তরকরণের জন্যও আবেদন ছিল বহু। এবার জেলায় ৮৬২৫জনের নাম তালিকা থেকে স্থানান্তরকরণ করা হয়েছে।
বীরভূমের ওসি ইলেকশন বুদ্ধদেব পান বলেন, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশমতো এদিন ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী জেলায় মোট ভোটার হয়েছেন ২৭ লক্ষ ৩৭ হাজার।
জেলা নির্বাচন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার আর ভোটাররা কালো-সাদা এপিক কার্ড পাবেন না। তাঁরা এবার থেকে পিভিসি এপিক কার্ড পাবেন। প্রশাসনের আধিকারিকদের দাবি, ওই এপিক কার্ড হবে রঙিন ঝকঝকে। এপিকে ভোটারের ছবিও থাকবে রঙিন। এটিএম বা প্যানকার্ডের মতো দেখতে হবে ওই কার্ড। যা খুব সহজে নষ্ট হবে না। আগুনেও সহজে পুড়ে যাবে না। কার্ডটি বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি করা হবে।
পিভিসি কার্ডটি হল পলিমার ভিনাইল ক্লোরাইডস। অর্থাৎ থার্মো প্লাস্টিক মেটিরিয়াল দিয়ে তৈরি হবে। ওই কার্ড ভোটারদের হাতে কয়েক মাসের মধ্যে দেওয়া হতে পারে। সেজন্য প্রস্তুতি চলছে। বুথ লেভেল অফিসারদের মারফত কার্ড ভোটারদের হাতে পৌঁছবে।
জেলা প্রশাসনের দাবি, এবারের ভোটার তালিকায় নাম তোলার ক্ষেত্রে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়। ইলেক্টোরাল লিটারেসি ক্লাব বিভিন্ন স্কুল, কলেজে প্রচার করেছে। নানা ধরনের সচেতনতা শিবির করা হয়েছে। তাছাড়া সেখানে ফর্ম বিলি করা হয়েছে। তার জেরেই এবার ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির সংখ্যা বেড়েছে। প্রশাসনের দাবি, জেলায় পুরুষ, মহিলা ভোটারের অনুপাত তৈরির কাজ চলছে।