বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১ জানুয়ারি পর্যন্ত এই জেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা ৩৭ লক্ষ ৫৬ হাজার ৫৩৬ জন। তারমধ্যে ১৯ লক্ষ ৫ হাজার ৫৪৫ জন পুরুষ এবং ১৮ লক্ষ ৫০ হাজার ৯৫৪ জন মহিলা রয়েছেন। থার্ড জেন্ডার রয়েছেন ৩৭ জন। এছাড়া এবার ২৩ হাজার ৯৭৯ জনের নাম ভোটার তালিকায় বাদ গিয়েছে। ভোটারের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭১ হাজার ৭১০ জন। তারমধ্যে ৩৯ হাজার ৪৮৩ জন মহিলা এবং ৩২ হাজার ২১৬ জন পুরুষ। এক্ষেত্রে মহিলারা এগিয়ে রয়েছেন। জেলায় মোট পোলিং স্টেশনের সংখ্যা ৪২৮৯টি।
মেদিনীপুর বিধানসভায় ভোটারের সংখ্যা সব থেকে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বিধানসভায় নতুন ভোটার বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৬৬৮১ জন। যদিও এরমধ্যে নতুন ভোটারের পাশাপাশি পুরানো ভোটারও রয়েছেন। বিবাহ সূত্র বা অন্য কোনও কারণে আগে অন্য কেন্দ্রে নাম ছিল, সেখানকার ভোটার তালিকায় নাম বাদ দিয়ে নতুন এই কেন্দ্রে নাম তুলেছেন, এরকম ভোটারও রয়েছেন। এরপরেই রয়েছে শালবনী বিধানসভা। এই বিধানসভায় এবার নতুন ভোটার বেড়েছে ৫৪৯৮ জন। ঘাটাল বিধানসভার চিত্রও একই। এই কেন্দ্রে নতুন ভোটার বৃদ্ধি পেয়েছে ৫৪৯৮ জন। কেশপুর বিধানসভায় ভোটারের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৪৭৭৮ জন। গড়বেতা বিধানসভায় বেড়েছে ৪২৮২ জন। চন্দ্রকোণা বিধানসভায় নতুন করে ভোটার হয়েছে ৪৯৩১ জন। দাসপুর বিধানসভায় ৫৬০৪ জন নতুন ভোটার হয়েছেন। ডেবরা বিধানসভায় ৩৫০৮, খড়্গপুর বিধানসভায় ৫৭১৩ জন, পিংলা বিধানসভায় ৪৯৮৩ জন, সবং বিধানসভায় ৪৪২৮ জন নতুন করে ভোটার হয়েছেন। নারায়ণগড় বিধানসভায় নতুন ভোটারের সংখ্যা তুলনামূলক কম। এই বিধানসভায় এবার ৩৩৫৩ জন নাম তুলেছেন। খড়্গপুর সদর বিধানসভা আবার ভোটার তালিকায় নাম তোলার নিরিখে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। এই বিধানসভায় এবার ৫১০৪ জন নতুন ভোটার নাম তুলেছেন। কেশিয়াড়ি বিধানসভায় ৩০৩৭ জন এবং দাঁতন বিধানসভায় ৪৩১২ জন ভোটার তালিকায় নতুন নাম তুলেছেন।
নির্বাচন দপ্তরের ওসি দীপ ভাদুড়ি বলেন, ৯৫ হাজার ৬৮৯জন নতুন ভোটারের নাম তালিকায় উঠেছে। এদের সকলকেই পিভিসি কার্ড দেওয়া হবে। এই কার্ড অনেকটা স্মার্ট কার্ডের মতো দেখতে। সহজে এই কার্ড নষ্ট হবে না। আকারেও কিছুটা ছোট হবে। নতুন ভোটারদের ক্ষেত্রেই শুধু এই কার্ড দেওয়া হবে। পুরানো ভোটারদের ক্ষেত্রে আগের কার্ডই বহাল থাকবে।