গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
হাসান আলির আদিবাড়ি পাঁশকুড়ার গোবিন্দনগর গ্রামে। শ্বশুরবাড়ি পাঁশকুড়ার মাইসোরায়। গত ২৩তারিখ শ্বশুরবাড়ির এক আত্মীয়ের বিয়ে ছিল পাঁশকুড়া স্টেশন এলাকায়। সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেন হাসান। সঙ্গে এসেছিলেন স্ত্রী শারিকা খাতুন এবং দিল্লি বোর্ডের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী একমাত্র ছেলে। বিয়ের ভোজ খেয়ে রাতেই একা বাড়ি ফিরে যান হাসান। পাঁশকুড়ায় স্ত্রী এবং ছেলে ছিল। মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য ছেলেকে নিয়ে দ্রুত কলকাতায় ফেরার জন্য স্ত্রীকে বলেছিলেন হাসান। সেই মতো ২৪তারিখ সকাল ১১টা নাগাদ ছেলেকে নিয়ে শারিকা কলকাতার আবাসনে ফিরছিলেন। তারআগেই হাসান ওই আবাসন থেকে বেরিয়ে যান। সকাল ১১টা নাগাদ ফোনে শেষবার যোগাযোগ করা গিয়েছিল। গোড়ার দিকে ফোনটি অন্যজন ধরেছিল। এভাবে পাঁচ ছ’বার অন্যজনের সঙ্গে যোগাযোগের পর ফোনটি বন্ধ হয়ে যায়।
সোমবার রাতেও বাড়ি ফিরে না আসায় প্রথমে পরিবারের পক্ষ থেকে বউবাজার থানায় অভিযোগ করতে যাওয়া হয়। পাঁশকুড়া থানাতেও মিসিং ডায়েরি করা হয়। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ তৈরি হওয়ায় দীঘায় যে হোটেল লিজে নেওয়ার কথা ছিল, সেই হোটেলে যায় দীঘা থানার পুলিস। সিসি ক্যামেরা থেকে দেখা যায়, গত ১২ফেব্রুয়ারি ওই হোটেলে এসে পেমেন্ট করছেন হাসান। সঙ্গে ছিল কয়েকজন ব্রোকার।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ মেচেদা স্টেশনে কারশেডে ট্রেন সাফাই করার সময় একটি ট্রলি ব্যাগের ভিতর থেকে হাসানের দেহ উদ্ধার হয়। বৃহস্পতিবার সকালে হাসানের ছোট ভগিনিপতি শেখ সমীর আলি পাঁশকুড়ায় জিআরপিতে যান। জিআরপি পুলিস তাকে নিয়ে মৃতদেহ শনাক্ত করাতে নিয়ে যান। দেহ শনাক্ত করেন সমীর আলি। এরপর মৃতের স্ত্রী শারিকা খাতুন পাঁশকুড়ায় এসে পৌঁছন।
শারিকা বলেন, দীঘায় একটি হোটেল নেওয়ার জন্য কথাবার্তা চলছিল। অগ্রিম হিসেবে দু’লক্ষ টাকা এবং পরে আরও ১৩লক্ষ টাকা দিয়েছেন আমার স্বামী। বাকি ছ’লক্ষ টাকা নিয়ে তিনি বেরিয়েছিলেন। সেই টাকা হাতানোর জন্যই এই খুন বলে মনে হচ্ছে। দু’জন ব্রোকারের সঙ্গে খুব কথা হতো। তাঁদের মধ্যে একজন এই ঘটনায় জড়িত বলে মনে হচ্ছে। আমি স্বামীর খুনির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাইছি।