দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি রামপুরহাটে প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিতে এসে কৃষকবন্ধু প্রকল্পের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর ব্লকে ব্লকে শিবির করে চাষির নাম নথিভুক্ত করা হয়। চাষিদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ভোটার কার্ড, জমির দলিলের জেরক্স কপি সহ নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। নথিভুক্ত ১৮-৬০ বছর বয়সি কোনও চাষি মারা গেলে মৃতের পরিবারকে দু’লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য করা হবে বলে ঘোষণা করা হয়। এমনিতে কৃষিকাজে সহায়তার জন্য কৃষকবন্ধু প্রকল্পে আর্থিক অনুদান ছাড়াও কৃষি সরঞ্জাম বিলি করা হয়েছে। গত বছরের ২৫ জুন রামপুরহাট, সিউড়ি ও বোলপুর মহকুমা মিলিয়ে মোট ৪১টি পরিবারের হাতে দু’লক্ষ টাকা করে মোট ৮২ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেয় কৃষিদপ্তর। বৃহস্পতিবার একইভাবে রামপুরহাট মহকুমার ময়ূরেশ্বর-১ ও ২, মুরারই-২, রামপুরহাট-১ ও ২ ব্লকের ২০টি মৃত চাষির পরিবারের হাতে ২০ লক্ষ টাকা এবং ৬৭জন বয়স্ক চাষির হাতে বার্ধক্য ভাতার মঞ্জুরিপত্র তুলে দেন কৃষিমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত জেলা সহ কৃষি অধিকর্তা(প্রশাসন) একেএম মিনাজুর আহাসান বলেন, মৃত্যু সবসময় বেদনাদায়ক। কোনওভাবেই সেই ঋণ পরিশোধ করতে পারব না। তবুও এই অসময়ে রাজ্য সরকার মৃতের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দু’লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য তুলে দিচ্ছে। সরকার মানবিকতার সঙ্গে এই প্রকল্প পরিচালনা করছে।
কয়েকমাস আগে স্বামী মারা গিয়েছেন মুরারই-২ ব্লকের কুনুটিয়া গ্রামের বাসিন্দা সামসুরা বিবির। এদিন আর্থিক সাহায্যের চেক হাতে পেয়ে তিনি বলেন, এই টাকার কিছুটা দিয়ে চাষ করব। আর কিছু টাকা ভবিষ্যতের জন্য ব্যাঙ্কে জমিয়ে রাখব।
অন্যদিকে চেক হাতে পেয়ে শাড়ির আঁচলে চোখ মুছতে মুছতে ময়ূরেশ্বর-১ ব্লকের আন্দিপুর গ্রামের মুর্শিদা বিবি বলেন, স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে দিশাহারা অবস্থা হয়ে গিয়েছিল। সামান্য কিছু জমি সম্বল করে ছেলে-মেয়ে নিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সরকার যেভাবে আমাদের মতো অসহায় পরিবারে আর্থিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিল তাতে চিরকৃতজ্ঞ থাকব।
মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কৃষকবন্ধু প্রকল্পে কেন্দ্র সরকারের একপয়সাও সহায়তা নেই। সমস্তটাই দিচ্ছে রাজ্য সরকার। মন্ত্রী আরও বলেন, মৃত কৃষকের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা এর আগে কোনও মুখ্যমন্ত্রী ভাবেননি। মৃত চাষির পরিবারকে উঠে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দিয়েছেন কৃষকদরদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া কৃষকদের সুনিশ্চত আয় প্রকল্পেও বার্ধক্য ভাতা দেওয়া শুরু হয়েছে। তালিকা ভুক্ত কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তা সরাসরি দেওয়া হবে। কৃষকরাও রাজ্য সরকারকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিক, এটাই চান মন্ত্রী।