বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিস সুপার কাজি সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, মৃতদেহের কাছ থেকে একটি সুইসাইড নোট পওয়া গিয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ডেবরার বিডিও পিন্টু ঘরামি বলেন, ওই কর্মী যে পঞ্চায়েতে কাজ করতেন, সেই পঞ্চায়েতের কর্মীদের ডেকে পাঠানো হচ্ছে। বিষয়টা খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।
এদিন এলাকায় রটে যায় চাল, গম বিক্রির দায় ওই কর্মীর উপর চাপানো হয়েছে। মৃতের পরিবার ও পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, শিশিরবাবু প্রায় ১৬ বছর ধরে ওই পঞ্চায়েতে স্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজ করছিলেন। গত কয়েক দিন ধরে প্রধান সহ অন্যান্যদের সঙ্গে তাঁর একটা বিরোধ চলছিল। তারই পরিণতিতে এই মৃত্যু বলে বাসিন্দাদের ধারণা। মৃত্যুর খবরে তাঁর বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে আসে। কান্নায় ভেঙে পড়েন সকলে। বাসিন্দারা মৃতদেহ ফেলে রেখে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ডেবরা পুলিস মহকুমার এসডিপিও সমীর অধিকারী ও প্রশাসনের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে যান। তাঁদের মধ্যস্থতায় বিক্ষোভ ওঠে।
মৃতের পিসতুতো দাদা অশ্বিনী সামন্ত বলেন, উনি স্ত্রীকে বলেছিলেন অফিসে ঝামেলা হচ্ছে। কী নিয়ে ঝামেলা তা অবশ্য বলেননি। বুধবার অফিস যাওয়ার পর আর বাড়ি ফেরেননি। রাতে দু’বার ফোন করা হলে বাড়ি ফিরব বলে জানিয়ে ছিলেন। কিন্তু তারপর থেকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি।
তাঁর বোন ঝুমারানি মণ্ডল বলেন, দাদা প্রায় ১৬ বছর ধরে কাজ করছিলেন। কিন্তু এই খবর পাওয়ার পরও পঞ্চায়েত অফিস থেকে কেউ আসেননি। প্রধানও এলেন না। ওরা সব বিক্রি করে দাদাকে মিথ্যা জড়িয়েছে। ওকে দিয়ে জোর করে সই করানো হয়। দাদা ওদের নাম লিখে গিয়েছেন।
ভরতপুর পঞ্চায়েতের প্রধান শেখ জুলফিকার বলেন, বাসিন্দারা মৃতদেহ ফেলে রেখে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে আসার দাবি তুলেছিলেন। তাঁদের দাবি, ঘটনার তদন্ত করা হোক। পুলিস ও প্রশাসনের আধিকারিকরা এসেছিলেন। তাঁদের মধ্যস্থতায় পুলিস মৃতদেহ নিয়ে যায়।
সত্যপুর পঞ্চায়েতের প্রধান পিয়ালীদেবী বলেন, এই ঘটনায় আমরা শোকাহত। কেন এমন হল বুঝতে পারছি না। আমাদের যখন নাম আছে, প্রশাসন তদন্ত করে দেখুক। প্রাক্তন প্রধান মণীন্দ্রবাবু বলেন, আমি এখন প্রধান নই। কিছুই জানি না। এর পিছনে কোনও চক্রান্ত আছে। আমিও চাই, ঘটনার তদন্ত হোক।