গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
সংস্থার সম্পাদক দুর্গাদাস মুখোপাধ্যায় বলেন, ১০০ বছর আগে এই দিনটিতে মা সারদা অসুস্থ অবস্থায় শেষবার বিষ্ণুপুরে স্টেশনে ট্রেন ধরে কলকাতায় যান। তারপরে তিনি মাত্র পাঁচমাস জীবিত ছিলেন। শুধু তাই নয়, মায়ের শিষ্য বশীশ্বর সেনের বাড়ির দাওয়ায় এবং গোরুর গাড়িতে করে যাত্রার যে ছবি আমরা দেখতে পাই। সেটা মায়ের জীবিত অবস্থায় তোলা শেষ ছবি। ওই ছবি বশীশ্বরবাবুই তুলেছিলেন। তাই এই দিনটি বিষ্ণুপুরের মানুষের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কথিত আছে, মা সারদা কলকাতা যাওয়ার জন্য বিষ্ণুপুরে ট্রেন ধরতে আসতেন। তিনি অসুস্থ হওয়ার পর ১৯২০ সালের ২৪ফেব্রুয়ারি জয়রামবাটি থেকে গোরুর গাড়ি করে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন। পথে কোয়ালপাড়ায় এক শিষ্যের বাড়িতে একদিন ছিলেন। ২৫ফেব্রুয়ারি বিষ্ণুপুরে আসেন। শহরের গড়দরজায় অপর শিষ্য বশীশ্বর সেনের বাড়িতে ওঠেন। সেখানে দু’দিন বিশ্রাম নেওয়ার পর ২৭তারিখ বেলা ১২টায় বিষ্ণুপুর স্টেশনে গোমো-হাওড়া ট্রেনে চাপেন। তারপর তিনি মাত্র পাঁচমাস জীবিত ছিলেন। স্বশরীরে তাঁর আর ফেরা হয়নি। তাই ১০০বছর আগে ওই দিনটি বিষ্ণুপুরের মানুষের কাছে স্মরণীয়। শহরের সুভাষ নাট্য সংস্থা ওই দিনটিকে অনুষ্ঠানিকভাবে পালন করে।
এছাড়াও বিষ্ণুপুর স্টেশনে যে কাঁঠাল গাছের নীচে মা সারদা বিশ্রাম নিতেন সেখানে রেলের পক্ষ থেকে বানানো বেদিতে মাল্যদান করা হয়। ট্রেন যাত্রীদের জয়রামবাটি থেকে আনা প্রসাদ বিতরণ করা হয়। পরে বিকেলে সংস্থার হলঘরে এনিয়ে একটি আলোচনা সভা হয়। বিষ্ণুপুরে শেষ পদার্পণের দিনটি স্মৃতিচারণা করা হয়।