গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি তথা দলের নেতা মোশারফ হোসেন মণ্ডল বলেন, দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত কোনও কাউন্সিলারকে পুরভোটে টিকিট দেওয়া হবে না। নেতৃত্বকে তা জানিয়ে দিয়েছি। যাঁরা মানুষের পাশে থেকেছেন বা এলাকার উন্নয়ন নিয়ে চিন্তাভাবনা করেছেন তাঁদেরকেই প্রার্থী করার জন্য বলা হয়েছে। অনেক কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়েছে। সেগুলি তদন্ত করে দেখার পরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সব অভিযোগ সবসময় সত্য হয় না। রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তথা তথা জঙ্গিপুরের দাপুটে তৃণমূল নেতা জাকির হোসেন বলেন, কিছু কাউন্সিলার নিজেদের এই কয়েক বছরে অনেক বড় মাপের নেতা বলে ভাবতে শুরু করেছিলেন। তাঁরা দলের নেতাদের গুরুত্ব দিতেন না। তাছাড়া অনেক অনিয়মের সঙ্গেও তাঁদের নাম জড়িয়ে পড়েছিল। এলাকায় তাঁদের ভাবমূর্তি খারাপ হয়ে গিয়েছে। জঙ্গিপুর পুরসভার বেশ কয়েকজন কাউন্সিলারের মধ্যে এই রোগ বাসা বেঁধেছিল। তাঁদের টিকিট না দেওয়ার জন্য দলকে জানিয়েছি। শুধু জঙ্গিপুর নয়, জেলার অন্যান্য পুরসভার অনেক কাউন্সিলারের মধ্যেই দুর্নীতির রোগ বাসা বেঁধেছে। তাঁদের ক্ষেত্রেও একই পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। আশা করি নেতৃত্ব সেই পথেই এগবে।
দলীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সমস্ত পুর এলাকায় কাউন্সিলাররা অনিয়মে জড়িয়েছিলেন এমনটা নয়। গোষ্ঠীকোন্দলের জেরেও অনেককেই এবার ব্যাকবেঞ্চে পাঠানোর চিন্তাভাবনা করেছে এক গোষ্ঠী। যদিও কোনও শহরেই এখনও প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হয়নি। সবকিছু প্রাথমিকস্তরে রয়েছে। জেলার ছ’টি পুরসভার প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে চার-পাঁচজনের নাম জমা পড়েছে। তাদের মধ্যে থেকেই কাউকে প্রার্থী করা হবে নাকি অন্য কাউকে টিকিট দেওয়া হবে সেটাও চূড়ান্ত হয়নি।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার জঙ্গিপুর, জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ, বহরমপুর এবং মুর্শিদাবাদ পুরসভার বেশ কয়েকজন কাউন্সিলারের টিকিট না পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাদের কারও বিরুদ্ধে হাউসিং ফর অল প্রকল্পে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আবার কারও বিরুদ্ধে দলবিরোধী কাজের অভিযোগ রয়েছে। তাঁদের বদলে নতুন মুখ তুলে আনার প্রক্রিয়া নেতৃত্ব শুরু করে দিয়েছে। মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আবু তাহের বলেন, এখনও প্রার্থী তালিকা ঠিক হয়নি। তবে সংগঠনের কাজ চলছে। সব কিছু বিচার বিবেচনা করে টিকিট দেওয়া হবে। বুথে বুথে বৈঠক চলছে।
প্রসঙ্গত, এবার জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ, মুর্শিদাবাদ এবং জঙ্গিপুর পুরসভার চেয়ারম্যানদের ওয়ার্ডও সংরক্ষিত হয়ে গিয়েছে। তাই তাঁরা কোন ওয়ার্ডে টিকিট পাবেন তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে। জেলার এক প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং একজন চেয়ারম্যানকে টিকিট না দেওয়ার জন্য দলের একাংশ সরব হয়েছে। ওই গোষ্ঠীর দাবি, তাঁরা চেয়ারে বসার পর দলের নেতাদের গুরুত্ব দেননি। তাঁদের কাজও শহরে দাগ কাটতে পারেনি। দলের এক নেতা বলেন, বহরমপুর এবং জঙ্গিপুর মহকুমার ওই দুই জনপ্রতিনিধিকে টিকিট দিলে গোষ্ঠীকোন্দল বাড়বে। তাঁদের পরিবর্তে নতুন মুখ তুলে আনলে সংগঠনের ভালো হবে। দলের অন্য পক্ষের দাবি, দুই জনপ্রতিনিধিই দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তাঁরা একাধিকবার নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন। তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হলে অন্য বার্তা যাবে। তবে ওই দুই পুরচেয়ারম্যানকে নিয়েও দল এখনও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে তৃণমূল সূত্রেই জানা গিয়েছে।