বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে আজকের দিনটা শুভ। কর্মক্ষেত্রে আজ শুভ। শরীর-স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। লটারি, শেয়ার ... বিশদ
অন্যদিকে, বুধবার একাধিক কর্মীসূচি ছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা সংসদ সদস্যের। প্রথমে তিনি রানিগঞ্জে গিয়ে সার্ভিস রোডের কাজের সরেজমিনে খোঁজ নেন। পরে আসানসোলের কুমারপুরে রেলের আরওবির কাজের অগ্রগতি দেখেন। শেষে রেলের আধুনিক রেস্তোরাঁ হেরিটেজ বগিতে ‘রেস্টুরেন্ট অন হুইলের’ সূচনা করেন।
কর্মীদের ক্ষোভপ্রকাশ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার রাতে এমপি বলেন, প্রতি দলেই এই ধরনের ক্ষোভ বিক্ষোভের বিষয় রয়েছে। এবার আমি গতবারের থেকে প্রায় তিনগুণের বেশি ভোটে জিতেছি। তাই আমিও চেয়েছিলাম কয়েকজন কাজ না করা নেতাদের বাদ দিয়ে বাকিদের পরিবর্তন না করাই ভালো। তবে জেলা কমিটি গঠনের সময়ে আমি দিল্লিতে ব্যস্ত ছিলাম। তাই কমিটি গঠন নিয়ে আমার সঙ্গে আলোচনা হয়নি।
অন্যদিকে, বিষয়টি নিয়ে জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুই বলেন, যোগ্য লোকদেরই স্থান দেওয়া হয়েছে। বিজেপির সাংগঠনিক নিয়ম মেনেই রাজ্য নেতৃত্বর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উনি তো মন্ত্রী, তাই আলোচনা করা হয়নি। তবু যদি ওঁর কোনও পরামর্শ থাকে তা আমরা আলোচনা করে নেব।
প্রসঙ্গত, বিজেপির নতুন জেলা কমিটি ও জেলা সভাপতি নির্বাচন নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। প্রথমে দ্বিতীয় বারের জন্য লক্ষ্মণ ঘোড়ুইকে জেলা সভাপতি হওয়া থেকে আটকানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে আসানসোলের একটি লবি। পরে লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের জেলা সভাপতি হিসেবে নাম ঘোষণার আগের দিন সংসদ সদস্য তাৎপর্যপূর্ণভাবে সোশ্যাল সাইটে বলেন, আমার বিপুল জয়ের পিছনে যাদের অবদান রয়েছে, তাদের পরিবর্তন না করাই আমার মত। কিন্তু জেলা সভাপতি ঘোষণার কয়েকদিনের মাথায় লক্ষ্মণবাবু জেলা কমিটির নতুন পদাধিকারীদের নাম ঘোষণা করেন। সেখানে কাযর্ত মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ সব নেতানেত্রীই বাদ যান। এরপর থেকেই আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রজুড়ে বিজেপির একটি অংশের ক্ষোভ দানা বাঁধতে থাকে। তাঁরা আসানসোলের একটি হোটেলে মিলিতও হন। তারপরে এদিন আবার খোদ এমিপর কাছে হাজির বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী।