পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
দলীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী জেলা নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বিভিন্ন পুর এলাকার নেতারা জোট নিয়ে তাঁদের মতামত জানাবেন। তারপরেই বাকি শহরগুলিতে কংগ্রেস কোন শর্তে বামেদের হাত ধরবে তা চূড়ান্ত হবে। তবে জঙ্গিপুরে দু’পক্ষ নিজেদের প্রয়োজনে হাত ধরতে বাধ্য হয়েছে। রাজনৈতিক মহল করছে, এই শহরে তৃণমূলের নিজেদের মধ্যে কোন্দল থাকলেও বিরোধীদের সংগঠন মজবুত নয়। তাই বিরোধীরা এককভাবে লড়লে শাসকদলের সঙ্গে টক্কর দিতে পারত না। সেকারণেই তারা জোট করতে বাধ্য হয়েছে। বামেরা কোন কোন ওয়ার্ডে প্রার্থী দেবে সেটাও ঠিক হয়ে গিয়েছে। জঙ্গিপুরের ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা গৌতম রুদ্র বলেন, কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। তারপরও আমরা দেওয়াল লিখন শুরু করেছি। দশটি করে আসন আমরা ভাগ করে নিয়েছি। প্রচারও শুরু হয়ে গিয়েছে। সিপিএম নেতা সোমনাথ সিংহরায় বলেন, জোটের একটা বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। তবে এখনই তা নিয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না।
জঙ্গিপুরের কংগ্রেস নেতা হাসানুজ্জামান বলেন, বামেদের সঙ্গে আলোচনা করে আসন রফা হয়েছে। ওরা দশটি আসনে লড়বে বলে ঠিক হয়েছে। আমাদের প্রার্থী তালিকা এখনও ঠিক হয়নি। তবে প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, জঙ্গিপুর পুরসভা বিগত নির্বাচনে বামেরা দখল করেছিল। পরে বাম কাউন্সিলাররা শিবির বদল করে তৃণমূলে যোগ দেন। পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যানও বাম শিবির থেকেই জয়ী হয়েছিলেন। শহরের বাসিন্দারা বলেন, এখন বামেদের সংগঠন আগের তুলনায় অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে। কংগ্রেসেরও সেই দাপট নেই। তাই জোট করেও কতটা সাফল্য আসবে তা নিয়ে দুই শিবিরের নেতারা ধন্দে রয়েছেন। কয়েকদিন আগে জঙ্গিপুরে সভা করে বর্তমান পুরবোর্ডকে তোপ দেগেছিলেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। পুরসভার অনিয়ম তিনি সরব হয়েছিলেন। তৃণমূল নেতা জাকির হোসেন বলেন, আমাদের দল কখনোই দুর্নীতি বা অনিয়মের পক্ষে নয়। কেউ তা করে থাকলে তাদের সরিয়ে দেওয়া হবে। জঙ্গিপুরের মানুষ তৃণমূলের উপর ভরসা করে। তাই ওরা যতই জোট করুক কোনও লাভ হবে না।