গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এব্যাপারে খড়্গপুরের রেলওয়ে পুলিস সুপার অবদেশ পাঠক বলেন, এখনও পর্যন্ত মৃতের পরিচয় জানা যায়নি। মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য তমলুক জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আমরা বিভিন্ন স্টেশনের সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করছি। কোন স্টেশন থেকে বস্তা তোলা হয়েছিল, সেই সংক্রান্ত সিসি টিভির ফুটেজ পাওয়া গেলে অপরাধীকে শনাক্ত করা যাবে।
রেল পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্য কোনও জায়গায় খুন করে মৃতদেহ প্যাকিং করার পর সেটি সুযোগ বুঝে রাতের ট্রেনে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে মেচেদা লোকাল বেছে নেওয়ার কারণ হল, রাতের মেচেদা লোকালে তেমন ভিড় থাকে না। বিশেষ করে বাগনান স্টেশনের পেরনোর পর যাত্রী সংখ্যা বেশ কমে যায়। যাত্রী সংখ্যা কম থাকার সুযোগ নিয়ে কেউ বা কারা বস্তাবন্দি লাশ ট্রেনে তুলে দিয়েছে। তদন্তকারীদের বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলার লক্ষ্যেই এই কাজ করা হয়েছে বলে জিআরপি-র অফিসারদের দাবি। কোন এলাকায় খুনের ঘটনা সংঘটিত হয়েছে, তা খুঁজে বের করতে জিআরপি তদন্ত চালাচ্ছে।
খড়্গপুর-হাওড়া লাইনে অধিকাংশ স্টেশনে সিসি ক্যামেরা আছে। এখন সিসি টিভির ফুটেজ ছাড়া অপরাধী শনাক্ত করার জন্য রেল পুলিসের কাছে বিকল্প কোনও পথ নেই। পাশাপাশি মৃতের ছবি বিভিন্ন স্টেশন এলাকায় ছড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে জিআরপি।
হলদিয়ায় মা ও মেয়েকে পুড়িয়ে খুনের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই মেচেদায় লোকাল ট্রেনে ট্রলিব্যাগের মধ্যে দেহ উদ্ধারের ঘটনা সাধারণ মানুষজনের মুখে মুখে ঘুরছে। হলদিয়ায় জোড়া খুনের পর মৃতদের পরিচয় পেতে চারদিন অন্ধকারে হাতড়েছে পুলিস। সোশ্যাল মিডিয়ায় এনিয়ে পোস্ট করেছিলেন এসপি ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়। তারপর মৃতদেহ পরিচয় পাওয়া গিয়েছিল। এক্ষেত্রেও জিআরপি বিভিন্ন স্টেশনে সিসি টিভির ফুটেজ সংগ্রহ করার পাশাপাশি মৃতের পরিচয় পেতে বিভিন্ন স্টেশনে তাঁর ছবি সাঁটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে, মৃতের মুখমণ্ডল একেবারে কালো ও বিকৃত হয়ে গিয়েছে। মৃতের পরিচয় গুলিয়ে দেওয়ার জন্যই পরিকল্পনা করে এমনটা করা হয়েছে বলে অনুমান পুলিসের। ট্রলিব্যাগে দেহটি মোড়ার সময় মাথার কাছে একটি ওড়না রয়েছে। ওই ওড়নার নেপথ্যে কোনও রহস্য আছে কি না, তাও ভাবাচ্ছে তদন্তকারী অফিসারদের।