বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে আজকের দিনটা শুভ। কর্মক্ষেত্রে আজ শুভ। শরীর-স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। লটারি, শেয়ার ... বিশদ
প্রসঙ্গত, গত এক সপ্তাহ ধরে আরামবাগ ব্লকের অধীনে থাকা বিভিন্ন পোলট্রি ফার্মে একের পর এক মুরগি মারা যায়। ওই মরা মুরগি একশ্রেণীর ব্যবসায়ী বস্তাবন্দি করে রাতের অন্ধকারে চাষের জমি ও জলাশয়ে ফেলে দিয়ে যায়। পচাগলা মরা মুরগি থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতে শুরু করে। বিশেষ করে বাতানল গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঁচগড়িয়া ও তিরোল গ্রাম পঞ্চায়েতের পুইন এলাকায় দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন গ্রামবাসীরা। সংবাদপত্রে এই খবর প্রকাশের পরই ওই এলাকাগুলি পরিদর্শন করেন আরামবাগের বিধায়ক কৃষ্ণ চন্দ্র সাঁতরা। এমনকী, বিধায়ক ও ব্লক প্রশাসনের তৎপরতায় মরা মুরগিগুলি মাটি চাপা দেওয়া হয়। অন্যদিকে, এক সঙ্গে এত মুরগির মৃত্যুর কারণ জানতে তা পরীক্ষা কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
প্রাণি সম্পদ বিকাশ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত বেসরকারি ফার্মে মুরগির মৃত্যু হয়েছে। ফার্মে থাকা মুরগিকে সাতদিন বয়সের মধ্যে ভ্যাকসিন দিতে হয়। কিন্তু, খরচ বাঁচিয়ে বেশি লাভের আশায় অধিকাংশ ফার্মে ওই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয় না। এছাড়াও মুরগি প্রতিপালনের সময় অয়েল সিড কেক খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়ানো হয়। কিন্তু, এবছর শীতকালে বেশ কয়েকবার দফায় দফায় বৃষ্টি হয়। যে কারণে ওই অয়েল সিড খাবারে ছত্রাকঘটিত সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই খাবারে বিষক্রিয়া থেকেও মুরগির মৃত্যু হতে পারে। এছাড়াও অধিকাংশ ফার্মে অল ইন, অল আউট পদ্ধতির প্রচলন রয়েছে। এতে বড় মুরগি রপ্তানি ও ছোট মুরগি ফার্মে আনার প্রক্রিয়া একসঙ্গে করা হয়। কিন্তু, নিয়ম অনুযায়ী ফার্মের মুরগি চাষের সময় বড় মুরগি বাজারে পাঠানোর পর অন্তত পক্ষে ১২ থেকে ১৪ দিন ফার্ম খালি রাখতে হয়। তাই তার থেকেও সংক্রমণ ঘটিত রোগে মুরগি মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে।