কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্কে জড়িয়ে গিয়েছিলেন। সেই সম্পর্ক শেষ করতে চাওয়াই কাল হয়েছিল পূজা কীর্তনীয়ার। প্রেমিককে বুঝিয়ে সম্পর্ক শেষ করার কথা বললেও শেষ রক্ষা হয়নি। নিজের গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে বলেছিলেন যোগাযোগ করলে আত্মহত্যা করবেন। কিন্তু ততক্ষণে অভিযুক্ত দেশলাই কাঠি জ্বালিয়ে পূজার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। মৃত্যকালীন জবানবন্দিতে পূজা বলেছিলেন, স্বামী আমায় খুব ভালোবাসত। আমিও ওকে ভালোবাসতাম। কিন্তু সমরেশের সেটা সহ্য হল না।
এই মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী নাসিরুদ্দিন আহমেদ বলেন, দোষীর যাবজ্জীবন সাজার নির্দেশ হয়েছে। সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানাও ধার্য হয়েছে। তদন্তকারী অফিসার খুব ভালোভাবে তদন্ত করেছে। নাসিরুদ্দিন সাহেব বলছিলেন, এই ঘটনা আমাদের শেখালো, একবার হয়ত জীবনে বেলাইন হলে ফিরে আসাটা সত্যিই কঠিন। স্বামী স্ত্রী দু’জন দু’জনকে ভালোবাসত। মাঝে একটা অন্য সম্পর্কের জেরে খুব বড় মাসুল দিলেন এই গৃহবধূ।
২০১৭ সালে নভেম্বর মাসে কৃষ্ণগঞ্জের হিরণপুর গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে। পূজা কীর্তনীয়ার স্বামী বিশ্বনাথ কীর্তনীয়া কর্মসূত্রে বাইরে থাকতেন। স্বামী না থাকায় বাড়ির কাছেই একটি সুতো কারখানায় কাজ করতেন পূজা। সেখানেই কাজের সূত্রে তাঁর পরিচয় হয়েছিল সমরেশ বিশ্বাসের সঙ্গে। পরে সমরেশের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পূজার বাড়িতেও আসত ওই গ্রামেরই যুবক। তাঁদের সম্পর্ক কয়েক মাসে অনেকটাই ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে। এরপর পূজা তাঁর স্বামীর আসার খবর জানতে পারেন। পুলিস সূত্রে খবর, এরপরই পূজা ঠিক করেছিল সমরেশকে বুঝিয়ে সম্পর্কটা শেষ করবেন। সমরেশকে বাড়িতে ডাকেন পূজা। কিন্তু বোঝানোর পরেও সমরেশ রাজি হয়নি। পূজা এরপর নিজের গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আত্মহত্যার হুমকি দেন। কিন্তু সমরেশের মাথায় তখন আগুন জ্বলে ওঠে। দেশলাই কাঠি জ্বালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় পূজার গায়ে। গ্রামীণ হাসপাতাল, সেখান থেকে শক্তিনগর পরে কল্যাণী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ৯০ শতাংশের উপরে তাঁর শরীরে বার্ন ইঞ্জুরি ছিল। ঘটনার সাত দিনের মাথায় তিনি মারা যান। পরে তাঁর স্বামীই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই ভিত্তিকে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বামী অভিযোগে বলেছেন, হাসপাতালে শুয়ে আমার স্ত্রী আমাকে সমরেশের কথা বলেছেন। আমার স্ত্রীকে মেরে ফেলার জন্য সমরেশ বিশ্বাস ওর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।