বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে আজকের দিনটা শুভ। কর্মক্ষেত্রে আজ শুভ। শরীর-স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। লটারি, শেয়ার ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বান্দোয়ান থানার কুমড়া গ্রামের বাসিন্দা সুকুমার তন্তবায়ের বিয়ে ঠিক হয়েছিল ঝাড়খণ্ড রাজ্যের কেন্দপুষি গ্রামে। মঙ্গলবার ছিল সুকুমারের বিয়ে। মোট পাঁচটি গাড়িতে বরযাত্রীরা গিয়েছিলেন। বিয়ে সেরে এদিন ঝাড়খণ্ড থেকে আমলাশোল-কাঁকড়াঝোড়-বগডুবা-ছুরিমারা-চাকাডোবা হয়ে বাড়ি ফিরছিলেন সকলে। সকাল ১০টা নাগাদ বগডুবার একটি মোড়ে বরযাত্রীদের একটি ট্রেকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। ওই ট্রেকারে ছিলেন বরের বাবা বলরামবাবু সহ ১৬জন। তার মধ্যে দশজন ট্রেকারের ভিতরে ছিলেন, বাকি ছ’জন ট্রেকারের উপরে বসেছিলেন। বলরামবাবু ট্রেকারের উপরে বসেছিলেন। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি উল্টে যাওয়ার পর স্থানীয় বাসিন্দারা সবাইকে উদ্ধার করতে পারলেও দু’জনকে উদ্ধার করতে পারেননি। কারণ, দু’জন গাড়িতে চাপা পড়ে গিয়েছিলেন। খবর পেয়ে পুলিস জেসিবি এনে ট্রেকার সরিয়ে দু’জনকে উদ্ধার করে বেলপাহাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। বলরামবাবুকে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকিরা ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, বেলপাহাড়ি হাসপাতাল ও পুরুলিয়ার চিরুডি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বরের মাসতুতো ভাই শ্রীকান্ত পাত্র বলেন, আমরা অন্য একটি গাড়িতে ছিলাম। বর-কনেও অন্য গাড়িতে ছিল। মেসো গাড়ির উপরে বসেছিলেন। এরকম দুর্ঘটনা যে ঘটবে, কেউ ভাবতেই পারিনি। এদিন বউভাতের অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পুলিস জানিয়েছে, গাড়িটি দ্রুতগতিতে আসায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। গাড়ির চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অন্যদিকে, এদিন সকালে ভূপতিনগর থানার নাজিরবাজারের কাছে দীঘা-নন্দকুমার ১১৬বি জাতীয় সড়কে একটি বেসরকারি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে নয়ানজুলিতে উল্টে যায়। এই ঘটনায় ১০জন যাত্রী জখম হন। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন খেজুরির বোগা থেকে হাওড়ার দিকে যাচ্ছিল বাসটি। বাসে ২০জনের বেশি যাত্রী ছিলেন। বাসটি প্রচণ্ড গতিতে ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য। নাজিরবাজারের কাছে অন্য একটি গাড়িকে ওভারটেক করতে গিয়ে রাস্তার পাশে বালির স্তূপের উপর উঠে যায় বাসটি। এরপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়ানজুলিতে নেমে গিয়ে উল্টে যায়। জখম যাত্রীরা স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়েছেন।