বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
বেসরকারি গ্যাস কোম্পানিটির আসানসোলের বার্নপুর এলাকায় ৫৭টি মাটির নীচে থেকে গ্যাস উত্তোলন করার জন্য পিট রয়েছে। প্রতি পিটে একজন করে নিরাপত্তারক্ষী থাকে। অভিযোগ, সময় মতো বেতন দেওয়ার দাবি জানিয়ে ও ২৬দিনের কাজের দাবিতে জানুয়ারি মাসে ১৫ তারিখ নিরাপত্তারক্ষীরা আন্দোলন করেন। এমনকী কোম্পানির কিছু ক্ষয়ক্ষতি করেন বলেও অভিযোগ। এই অপরাধে কোম্পানি ২৯ জন নিরাপত্তারক্ষীকে ছাঁটাই করার পাশাপাশি মামলা রুজু করে। তারপর থেকেই আন্দোলন শুরু হয়। যার নেতৃত্ব দেন স্থানীয় তৃণমূল নেতারা।
কিন্তু প্রশাসনিক বৈঠকে দুর্গাপুরে এসে বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো ক্ষোভপ্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি দ্রুত মেটানোর নির্দেশ দেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো সবপক্ষকে নিয়ে বৈঠক করেন মন্ত্রী ও ডিএম। কিন্তু বৈঠকে কোনও সমাধান বের হয়নি। অবশেষে আসানসোল কোম্পানির মূল প্ল্যান্টের সামনে মঙ্গলবার থেকে তৃণমূলের নেতৃত্বে ধর্না, অনশন শুরু করেছেন কাজ হারানো নিরাপত্তারক্ষীরা। তাঁদের পাশে রয়েছে স্থানীয় কাউন্সিলার ভরত দাস, তৃণমূল শ্রমিক নেতা অনুপ লায়েক।
মেয়র পরিষদ সদস্য লক্ষ্মণ ঠাকুর বলেন, কোম্পানি কোনও সমঝোতার রাস্তায় যাচ্ছে না। ২৯জনকে নিয়োগ না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। অন্যদিকে কোম্পানি থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ওই ২৯ জন ডিরেক্টর অব মাইন সেফ্টির নির্দেশিত নিরাপত্তাবিধি কঠোরভাবে ভঙ্গ করেছে। ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রশাসনের সঙ্গে মিটিংয়ে তাঁদের ফিরিয়ে নিতে বলা হয়। যা ঠিকাদার সংস্থার পক্ষ থেকে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। কিছু দুষ্কৃতীর জন্য এলাকার আইনশৃঙ্খলা ঝুঁকিপূর্ণ হচ্ছে।