কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ
রামপুরহাটে এখনও কোথাও মোটরভ্যান, কোথাও গ্যাস সিলিন্ডার যুক্ত পুরনো বিপজ্জনক মারুতি ভ্যানে বাচ্চাদের স্কুল পাঠাচ্ছেন অভিভাবকরা। মঙ্গলবার সকালে আচমকা অভিযানে নেমে এমনই অনিয়ম দেখলেন রামপুরহাটের এসডিও এবং এআরটিও। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সাতটি গ্যাস সিলিন্ডার যুক্ত মারুতি ভ্যান। প্রশাসনের তরফে সেই সমস্ত ভ্যানের বাচ্চাদের নিজের গাড়ি করে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আরও বেশকিছু গাড়িকে নোটিস দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে স্কুলবাসের স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করেন তাঁরা।
প্রয়োজনীয় সতর্কতা ছাড়াই অবৈধভাবে স্কুলগাড়ি চলছে। অভিযোগ, স্কুলগাড়ির মালিকও নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের ধারধারেন না। পুলিসের তরফে রাস্তায় চালক এবং গাড়ির নথি পরীক্ষা করা হলেও অন্যান্য কারিগরি বিষয় যাচাই করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয় বলেই দাবি। এদিকে, পরিবহণ দপ্তরের পক্ষেও সব সময়ে টানা অভিযান চালানো সম্ভব নয়। এই সমন্বয়ের ঘাটতিকে হাতিয়ার করে দীর্ঘদিন ধরে বিপজ্জনক গাড়িতে স্কুলপডুয়াদের নিয়ে যাতায়াত করছে বিভিন্ন গাড়ি।
রামপুরহাটের মহকুমা শাসক শ্বেতা আগরওয়াল বলেন, রামপুরহাটের দু’টি বড় স্কুলের সামনে বেশ কয়েকটি গ্যাসযুক্ত পুরনো মারুতি ভ্যান পাওয়া গিয়েছে। যা অত্যন্ত বিপজ্জনক। কিছু ভ্যান বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যেগুলি ভালো, সেই গাড়ির মালিকদের পেট্রল বা ডিজেল দিয়ে চালানোর জন্য বলেছি। স্কুলের নিজস্ব বাসগুলিরও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। সেগুলি মোটামুটি ঠিকই আছে। যেটুকু ঘাটতি আছে তা দ্রুত পূরণ করার কথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে বাচ্চারা ঠিকমতো বাড়ি পৌঁছল কি না সেব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়ার জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।
প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, গ্যাস সিলিন্ডারযুক্ত মারুতি ভ্যানগুলি অভিভাবকরাই ঠিক করেছেন। আর্থিক কারণে কয়েকজন অভিভাবক মিলে কম খরচে সেই গাড়ি ভাড়া করে বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন। কিন্তু, টাকার থেকেও তাঁদের সন্তানদের জীবন মূল্যবান সেটা অভিভাবকদের বোঝা উচিত। তাঁরা অনিয়মকে প্রশ্রয় দেওয়ায় এই সমস্যা বেড়েছে। অভিভাবকদের মধ্যে সেই বোধ জাগ্রত করার জন্য স্কুলগুলিকে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে, এআরটিও দেবাশিস ঘোষ বলেন, এদিন বেশ কয়েকটি স্কুলে অভিযান চালিয়ে সাতটি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সেই গাড়িগুলির বাচ্চাদের আমার গাড়ি করে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এধরনের অভিযান জারি থাকবে। অনিয়ম পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে এদিনও মুরারই এলাকায় অবৈধ মোটরভ্যানে লোহার খাঁচা বানিয়ে বিপজ্জনক অবস্থায় বাচ্চাদের স্কুল নিয়ে যাওয়ার চিত্র উঠে এসেছে। এগুলি অভিভাবকদের ঠিক করা বলে চালকরা স্বীকার করেছেন। খুব শীঘ্রই অভিযানে নেমে সেগুলির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা।
অন্যদিকে, এদিন সিউড়িতেও একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের গাড়িগুলিতে অভিযান চালায় পরিবহণ দপ্তর। পুলিসের কর্তারাও সেখানে যান। প্রায় ছ’টি গাড়ি পরীক্ষা করে দেখা হয়। বীরভূমের আরটিও মৃণ্ময় মজুমদার বলেন, এদিন প্রায় প্রত্যেকটি গাড়িই ঠিক ছিল। দু’টি গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেটে গণ্ডগোল ছিল। সেগুলি রাস্তায় যাতে না চলে সেজন্য স্কুল কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। একটি গাড়ির টায়ারে সমস্যা ছিল। তা পরিবর্তন করার জন্য বলা হয়েছে। এব্যাপারে নজরদারি করা হবে।