বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
হাসপাতাল ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রোগীর নাম নিতাই সরেন। বয়স ৪৭ বছর। মেমারি থানার সাতগাছিয়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঁটাডাঙা গ্রামে। খিঁচুনি হওয়ায় গত ১৯ ফেব্রুয়ারি তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রাধারানি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছিল। তাঁর সিটি স্ক্যান করতে বলেছিল চিকিৎসকেরা। গত শুক্রবার তাঁর মেয়ে হাসপাতালে বাবার জন্য স্ক্যানের কাগজপত্র তৈরি করছিলেন। তিনি ওয়ার্ডে গিয়ে দেখেন, বাবা নিখোঁজ! তারপরই তিনি হাসপাতালের সুপারের অফিসে যান। সেখানে গিয়ে বিষয়টি জানান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও খোঁজ শুরু করে। কিন্তু, খোঁজ না মেলায় পরিবারের তরফে ওইদিনই বর্ধমান থানায় একটি নিখোঁজের ডায়েরি করেন। রবিবার সকালে গ্রামের লোকজন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের স্থানীয় কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ ইসমাইলের কাছে যান। ওই কর্মাধ্যক্ষও পুলিস ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি দেখার অনুরোধ করেন।
সোমবার সকালে পরিবারের লোকজন এবং গ্রামবাসীরা সকলে মিলে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসেন। তাঁরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়ে বলেন, হাসপাতালের চারিদিকে সিসি টিভি ক্যামেরা বসানো রয়েছে। তাই ওই ফুটেজ দেখা হোক। কিন্তু, ওই ফুটেজে নিতাইবাবুকে দেখা যায়নি। পরিবারের লোকজন থানাতেও যান। ফের হাসপাতালে গিয়ে আশপাশ এলাকায় খোঁজখবর করেন। কিন্তু, কেউই সন্ধান দিতে পারেননি। বাড়ি ফেরার জন্য সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ তাঁরা টোটোয় চেপে বর্ধমান স্টেশনের দিকে যাচ্ছিলেন। খোসবাগান এলাকায় তাঁরা হঠাৎ দেখেন, একটি নার্সিংহোমের সামনে দিয়ে নিতাইবাবু খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা তাঁকে উদ্ধার করেন। নিতাইবাবু পরিবারের লোকজনকে পেয়ে বলেন, দু’দিন খাইনি। তারপর তাঁকে হোটেলে নিয়ে গিয়ে পেটভরে খাওয়ানো হয়। তবে, কীভাবে তিনি নিখোঁজ হয়েছিলেন তা এখনও জানা যায়নি।
পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ মহম্মদ ইসমাইল বলেন, আমরা খুবই চিন্তায় ছিলাম। অবশেষে পরিবারের লোকজনই নিতাইবাবুকে খুঁজে পেয়েছেন। এটা ভালো খবর। তবে, কীভাবে তিনি নিখোঁজ হলেন তা খতিয়ে দেখা দরকার।
অন্যদিকে, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডেপুটি সুপার ডাঃ অমিতাভ সাহা বলেন, কীভাবে তিনি ওয়ার্ড থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন তা আমরা দেখছি। সিসি টিভি ক্যামেরা সমস্ত ফুটেজও খতিয়ে দেখা হবে। পুরো বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।