কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিকে, ঘটনার জেরে সব জঞ্জালের গাড়ি একে একে ডাম্পিং গ্রাউন্ডের দিকে রওনা দেয়। আন্দোলনকারী বাসিন্দারা নবদ্বীপ পুরসভার চেয়ারম্যানের কাছে ৯ দফা দাবি জানিয়ে একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন। পুরসভার চেয়ারম্যান বিমানকৃষ্ণ সাহা বলেন, আমরা ইতিমধ্যে একটি এজেন্সিকে কাজের দায়িত্ব দিয়েছি। তারা প্রস্তুতি শুরুও করে দিয়েছে। তবে বিমানবাবুর অভিযোগ, বিজেপি বিক্ষোভকারীদের ইন্ধন জোগাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার বিকালে এখানকার ভাগাড়ে আগুন লাগার ঘটনায় বিষাক্ত ধোঁয়ায় সাতজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের চন্দ্রকলোনি, দাসপাড়া, মালঞ্চপাড়া সহ বিষ্ণুপ্রিয়া হল্ট স্টেশন সহ বিস্তীর্ণ এলাকা ধোঁয়ায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়। ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। শিশু সহ বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। সাতজনকে নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। দমকলের একটি ইঞ্জিন ও কৃষ্ণনগর থেকে আরও দু’টি দমকলের ইঞ্জিন এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। বেশ কয়েক ঘণ্টা পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই ভাগাড়ে মাঝে মাঝেই কে বা কারা আগুন লাগিয়ে দেয়। এজন্য পুরসভাকে বহুবার বলেও কোনও লাভ হয়নি। এখান থেকে ভাগাড় অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার দাবিও জানানো হয়েছে। এদিন সকালে নবদ্বীপ পুরসভার জঞ্জাল ফেলতে গেলে এলাকার বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়।
পুরসভার চেয়ারম্যান বলেন, স্থানীয় বাসিন্দাদের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে এখানে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে চলেছে খুব তাড়াতাড়ি। তখন সব কিছুই আমূল বদলে যাবে। এসব সমস্যা আর থাকবে না। কিন্তু বিজেপি উস্কানি দিয়ে শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করার চক্রান্ত করছে। জনসাধারণ এর যোগ্য জবাব দেবে।
বিজেপি নবদ্বীপ শহর উত্তরের যুব মোর্চার সভাপতি তন্ময় কুণ্ডু বলেন, আমরা কোনও রাজনীতি করছি না। ওখানকার বাসিন্দারা অসুবিধা ভোগ করছেন বলেই এদিন জঞ্জালের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখায়। তাছাড়াও সম্প্রতি জঞ্জালে আগুন লাগায় তিনজন মহিলা সহ সাতজন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল। এখানে বিজেপির কোনও ভূমিকা নেই। পুরসভার চেয়ারম্যান নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে বিজেপিকে অযথা দোষারোপ করছেন।