বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে কান্দি শহরে মহিলারা বিশেষ করে রাতের দিকে একা বের হতে ভয় পেতেন। ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়া এমনকী কলেজ ছাত্রীরা রাতে টিউশনি সেরে ফেরার পথে শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন। বছর তিনেক আগে মহকুমা সংশোধনাগারের পিছনে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনাও ঘটে। স্থানীয় গৃহবধূ সুদেষ্ণা চিত্রকর বলেন, আগে মহিলাদের গয়না বা ব্যাগ মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
কিন্তু কয়েকমাস হল কান্দির ওই চিত্র অনেকটাই বদলে গিয়েছে। কান্দি পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের আগে পুরসভা এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডের ব্যস্ত মোড়গুলিতে সিসি ক্যামেরা লাগানোর কাজ শুরু করা হয়। এরমধ্যে কান্দি বাস টার্মিনাস থেকে আদালত, হাসপাতাল মোড়, বিশ্রামতলা, জেমো বাজারে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। ইতিমধ্যে শতাধিক ক্যামেরা লাগানোর কাজ শেষ হয়েছে। আরও কিছু ক্যামেরা লাগানোর কাজ চলছে। পুরসভা ও কান্দি থানার কন্ট্রোল রুম থেকে নজরদারি চালানো হচ্ছে। কয়েক মাস আগে তৎকালীন পুলিস সুপার মুকেশ কুমার এর উদ্বোধন করেন।
বাসিন্দারা জানান, সিসি ক্যামেরায় নজরদারি চালানোর পর অপরাধমূলক ঘটনা অনেক কমেছে। রাত বাড়লেও মহিলারা কাজ সেবে নিশ্চিন্তে বাড়ি ফিরছেন। ছাতিনাকান্দির গৃহবধূ শামিমা সারোয়ার বলেন, আগে মহিলারা নিরাপত্তার অভাব বোধ করত। এখন নিশ্চিন্তে ঘুরতে পারছি। কাজের সূত্রে কয়েকদিন রাত ১১টার পরও একা বাড়ি ফিরেছি।
কান্দি থানার পুলিস জানিয়েছে, কন্ট্রোল রুমে সবসময় নজরদারি চালানো হচ্ছে। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা হলে টহলদারি গাড়ি মুহূর্তের মধ্যে পৌঁছে যাচ্ছে। ফলে আগের থেকে অপরাধ অনেক কমেছে। ইতিমধ্যেই সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে কয়েকজন দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কান্দি বাস টার্মিনাস এলাকায় জালনোট সহ ধরা পড়েছে দু’জন। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখেই আগ্নেয়াস্ত্র সহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তবে শহরের এখনও বিভিন্ন এলাকায় সিসি ক্যামেরা না বসায় বাসিন্দাদের একাংশের ক্ষোভ রয়েছে। বাঘডাঙা এলাকার আইনজীবী জগৎজ্যোতি রায় বলেন, পিছিয়ে পড়া এলাকাগুলিতেও সিসি ক্যামেরা লাগানোর প্রয়োজন রয়েছে। পুরসভার এদিকে নজর দেওয়া উচিত। কান্দি পুরসভার কাউন্সিলার তথা শহর তৃণমূল সভাপতি দেবল দাস বলেন, শহরের যে এলাকাগুলিতে এখনও সিসি ক্যামেরা বসানো হয়নি সেগুলি কিছুদিনের মধ্যেই লাগানো হবে। কেবলের অভাবে এই কাজ কিছুদিন বন্ধ ছিল। তবে কেবল এসে গিয়েছে।
কান্দি পুরসভার চেয়ারম্যান অপূর্ব সরকার বলেন, সিসি ক্যামেরা লাগানোর ফলে মহিলাদের নিরাপত্তা বেড়েছে। বাসিন্দাদের সঙ্গে আমরাও কিছুটা নিশ্চিন্তে থাকতে পারছি। দুষ্কৃতীদের ধরছে পুলিস।