রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই রাতে ওই ট্রাক চালক পাট বোঝাই করে শ্যামনগর থেকে কলকাতার দিকে যাচ্ছিলেন। বর্তমানে রাজ্য সড়ক সংস্কার হচ্ছে। ফলে যেকোনও গাড়ি চলাচল করলে রাস্তায় ধুলো ওড়ে। ওই রাতে ট্রাক চালকের পিছনেই বাইক নিয়ে জেড পি ৯-র বিজেপির সাধারণ সম্পাদক ও তাঁর এক সঙ্গী তেহট্টের দিকে যাচ্ছিলেন। ট্রাক আগে যাওয়ার কারণে রাস্তায় ধুলো উড়ছিল। ধুলো ওড়ার কারণে স্বপন ও তাঁর সঙ্গী রেগে যান। তাঁরা পাশ কাটানোর চেষ্টা করেন। বেশ কিছুক্ষণ পর তাঁরা পাশ কাটিয়ে ওই ট্রাকটিকে থামান। এরপরই ট্রাক চালকের সঙ্গে ওই দু’জনের বচসা হয়। অভিযোগ, এই সময় একটা বাঁশ নিয়ে এসে স্বপনবাবু ও তাঁর সঙ্গী ট্রাক চালক ও খালাসিকে মারধর করে। এতে ওই ট্রাক চালকের মাথা ফেটে যায়।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা ট্রাক চালককে উদ্ধার করে তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তাঁর মাথায় বেশ কয়েকটি সেলাই পড়েছে। এরপরে ট্রাকচালক স্বপনবাবু ও তাঁর সঙ্গীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়। পুলিস অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করে। স্বপনবাবুকে গ্রেপ্তার করে।
এবিষয়ে ওই ট্রাক চালক অভিযোগ করে বলেন, আমি পাট বোঝাই করে ওই রাস্তা দিয়ে কলকাতায় যাচ্ছিলাম। আমার পিছনে ওঁরা দু’জন বাইকে আসছিলেন। বারবার পাশ কাটানোর জন্য ওঁরা হর্ন দিচ্ছিলেন। রাস্তা খারাপ থাকার জন্য ওঁদের সাইড দিতে একটু দেরি হয়। এরমধ্যে রাস্তায় ধুলো উড়ছিল। ধুলো ওঁদের গায়ে লাগে। আমাকে ওভারটেক করে এসে ওঁরা বাইক গাড়ির সামনে দাঁড় করিয়ে দেন। এরপরে আমাকে ও সহকারীকে গালিগালাজ করেন। বাঁশ দিয়ে মারধর করে আমার মাথা ফাটিয়ে দেন। আমাদের কাছে থাকা সমস্ত টাকা কেড়ে নেওয়া হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের সাহায্যে আমি তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে যাই। পরে পুলিসে অভিযোগ করি।