পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
পরিবার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, জখম ব্যক্তির নাম সুজয় ঘোষ(৪২)। তাঁর বাড়ি খড়্গপুর বারবেটিয়া। তিনি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকানের কর্মী। বাড়িতে সুজয়বাবুর মা, স্ত্রী, ভাই ও তাঁর পরিবার রয়েছেন। শুক্রবার সকাল ৮টায় তিনি কাজে বেরিয়ে যান। রাত ১০টার দিকে তাঁর বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু, রাতেই এক প্রতিবেশী এসে ট্রেন দুর্ঘটনার কথা জানান। স্টেশনের সিসি ক্যামেরাতেও সুজয়বাবুর দুর্ঘটনা এবং তাঁকে উদ্ধার করার ছবি রেকর্ড হয়েছে। সিসি ক্যামেরাতে দেখা যাচ্ছে, চলন্ত ট্রেনটি বেশ গতিতেই ছিল। সুজয়বাবু ছুটে এসে উঠতে গিয়ে প্ল্যাটফর্মে পড়ে যান। ট্রেনের ধাক্কায় প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনের ভিতরে রেল লাইনের দিকে তাঁর হাত ঢুকতে থাকে। ঠিক সময় ধর্মেন্দ্রকুমার যাদব নামে ওই আরপিএফ কর্মী ছুটে গিয়ে তাঁকে প্ল্যাটফর্মে টেনে নিয়ে আসেন। সুজয়বাবু কিছুক্ষণ বসে থাকার পর ওঠার চেষ্টা করেন। কিন্তু, হাতে ও মাথায় চোট লাগায় তিনি ফের প্ল্যাটফর্মে শুয়ে পড়েন।
দুর্ঘটনার বিষয়টি জানতে পেরে চলন্ত ট্রেনটিও ততক্ষণে দাঁড়িয়ে যায়। ট্রেন থেকে যাত্রীরা নেমে তাঁকে দেখেন। জল দেন। ততক্ষণে আর পিএম, জিআরপি এবং রেলকর্মীরা সকলেই হাজির হয়ে গিয়েছেন। তাঁকে উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই আরপিএফ জওয়ান রক্ষা না করলে আরও বড় বিপদ হতে পারত।
সুজয়বাবুর মা বীথিকা ঘোষ বলেন, ছেলে বৃহস্পতিবার সকালে বেরিয়েছিল। একজন কাজে আসেনি বলে দু’ শিফটে কাজ করে রাত ১০টায় ছেলের ফেরার কথা ছিল। কিন্তু, রাত ১০টা নাগাদ একজন এসে জানান, ছেলের দুর্ঘটনা ঘটেছে। রবিবার ছেলে বাড়ি ফিরেছে। এরপর তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমার ছেলেকে যে রক্ষা করেছে, সে ভগবানের দূত।